নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: লড়াই করে হারলো বাংলাদেশ। ২০৫ রান টার্গেট করে মাত্র ১৫ রানে হেরে গেল টাইগাররা। কিন্তু তাদের লড়াই মনে রাখবে দর্শক। হয়তো একটু সাবধানে ধীরে-সুস্তে খেললে জিতেই যেতো মুশফিক বাহিনী। শুরুতে তিন উইকেট নেই। কিন্তু দমে যাননি টাইগাররা, কমেনি রানের গতি। রান থামেনি। চলছে চারের বন্যা। শুরুতেই চার দিয়ে উদ্বোধন করেন শুভ। কিন্তু থাকলেন না। ছয় মারলেন জিয়া। তিনিও থাকলেন না। মমিনুলও আউট হয়ে গেলেন।
গ্যালারিতে নিস্তব্ধতা। ক্রিজে এলেন ক্যাপ্টেন মুশফিক আর নাইম। পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে। তাই দেখালেন দুজন। মুশফিক ও নাইমের চারের বন্যায় ভেসে যাচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু নাইম ছয় মারতে গিয়ে আ্উট হয়ে খানিকটা হতাশা ছড়িয়ে দেন। তখনো রানের গতি কমেনি। নাসির আসলেন। চারও মারলেন বেশ কটি। কিন্তু মুশফিকের আউটটি সব এলোমেলো করে দিল। তবে তিনি আউট হবার আগে ২৮ বলে ৫০ করলেন। এরপর সোহাগ গাজী লড়েছেন। করেছেন ১৫ বলে ২৩ রান। মাহমুদুল্লাহ ও নাইমও খারাপ খেলেননি। তবে তারা আর দু একটি ওভার বেশি করতে পারলে ফলাফল হয়তো অন্যরকম হতো। বাংলাদেশের ১৮৯ রানে ছিল ১৮টি চার। আর ছয় ছিল ৮টি। এটাকে ব্রিলিয়ান্ট বললে নিশ্চয় কেউ আপত্তি করবেন না। একমাত্র টি২০ ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ২০৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল সফরকারীরা। বুধবার দুপুরে মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান তোলে কিউইরা। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন কলিন মুনরো। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান অ্যান্টন ডেভসিচ করেন ৫৯ রান। বাংলাদেশের পক্ষে আল আমীন হোসেন ২টি এবং আব্দুর রাজ্জাক, সোহাগ গাজী ও জিয়াউর রহমান ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৭২ রানে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হামিশ রাদাফোর্ডকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে দিনের প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছেন ডানহাতি স্পিনার সোহাগ গাজী। নাসির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ১টি চার ও ১টি ছয়ে ১৭ বলে সমান সংখ্যক রান করেন রাদারফোর্ড।
এরপর ১০ম ওভারের দ্বিতীয় বলে আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান অ্যান্টন ডেভসিচকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। অবশ্য এর আগেই বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে ফেলেছেন ডেভসিচ; তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। শামসুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ১০টি চার ও ১ ছয়ে ৩১ বলে ৫৯ রান করেন তিনি।
ম্যাচের ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে রস টেইলরকে সাজঘরে ফেরান জিয়াউর রহমান। নাঈম ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ২৮ রান করেন তিনি। এরপর ম্যাচের শেষ ওভারে কোরি অ্যান্ডারসন ও রনচিকে সাজঘরে ফেরান আল আমীন। তবে তা স্বত্ত্বেও সফরকারীদের দুই শতাধিক রানের নিচে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২০৪ রানে থামে তারা। এবারের সফরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের কোনোটিতেই সাফল্য পায়নি কিউইরা। টেস্ট সিরিজটি ড্র হলেও ওয়ান ডে সিরিজে স্বাগতিকদের কাছে বাংলাওয়াশ হয় সফরকারী। ফলে দেশের ফেরার আগে অন্তত টি২০ ম্যাচটি জিততে মরিয়া তারা। অন্যদিকে ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো নিউজিল্যান্ডকে বা্ংলাওয়াশের লজ্জায় ফেলা বাংলাদেশও জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করতে বদ্ধপরিকর। ম্যান অব দ্য ম্যাচ কলিন মুনরো।