নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: তৃতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন বিচারপতি লতিফুর রহমান। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় ঐক্য জোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ মোট ৩০০ টি আসনের মধ্যে ৫৮ টি আসনে জয়লাভ করে। দেশে বিদেশে এই নির্বাচন ব্যাপক প্রশংসা লাভ করলেও আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে স্থুল কারচুপির অভিযোগ তোলে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন তারা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবেন ও শপথ নেবেন না। পরে অবশ্য আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্যগন শপথ নেন, এবং সংসদে যোগ দান করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ২০০১
পদ – নাম – প্রাপ্ত মন্ত্রনালয় – সামাজিক অবস্থান
প্রধান উপদেষ্টা – বিচারপতি লতিফুর রহমান – মন্ত্র্রিপরিষদ বিভাগ, সংস্থাপন, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, নির্বাচন কমিশন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় – সাবেক প্রধান বিচারপতি
-উপদেষ্টা – সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ – আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-
বিশিষ্ট্য আইনজীবী
-উপদেষ্টা – বিচারপতি বিমলেন্দু বিকাশ রায় চৌধুরী – স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়- সাবেক বিচারপতি
-উপদেষ্টা – এএসএম শাহজাহান – শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়- পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক
-উপদেষ্টা – সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী – কৃষি, নৌ পরিবহন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়- ব্যবসায়ী
-উপদেষ্টা – আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী- তথ্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, খাদ্য, পরিবেশ ও বন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়
-উপদেষ্টা – একেএম আমানুল ইসলাম চৌধুরী – যোগাযোগ, বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজসম্পদ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়
-উপদেষ্টা – এম হাফিজ উদ্দিন খান – অর্থ, পরিকলনা, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়- সাবেক অডিটর জেনারেল
-উপদেষ্টা – বৃগেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক আবদুল মালেক – স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় – সাবেক সেনাকর্মকর্তা
-উপদেষ্টা – মেজর জেনারেল (অব.) মইনুল হোসেন চৌধুরী – শিল্প, বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়- সাবেক সেনাকর্মকর্তা
-উপদেষ্টা- রোকেয়া আফজাল রহমান – মহিলা ও শিশু বিষয়ক, সমাজকল্যাণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়- ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ব্যাংক ম্যানেজার
তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ১৯৯৬
দ্বিতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে। ১৯৯৬ সালে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলাদেশের সর্ব প্রথম সংবিধান সম্মত তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ১৪৭ আসন লাভ করে এবং জামায়াতে ইসলামের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। বিএনপি এই নির্বাচনে ১১৬ টি আসনে জয়লাভ করে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম বিরোধীদল হিসেবে সংসদে যোগ দেয়।
তত্ত্বাবধ্যায়ক সরকার, ১৯৯৬
পদ – নাম – প্রাপ্ত মন্ত্রণালয় – সামাজিক অবস্থান
-প্রধান উপদেষ্টা – মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান – মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সংস্থাপন, স¡রাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, তথ্য, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগ – সাবেক প্রধান বিচারপতি
-উপদেষ্টা – সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ – আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-বিশিষ্ট্য আইনজীবী।
-উপদেষ্টা – প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস – প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়-অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।
-উপদেষ্টা – অধ্যাপক মোঃ শামসুল হক – শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
-উপদেষ্টা – সেগুফতা বখত চৌধুরী – শিল, বাণিজ্য, পাট এবং বস্ত্র মন্ত্রণালয়।
-উপদেষ্টা – এজেডএ নাসিরউদ্দিন – কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও পশুসম্পদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়।
-উপদেষ্টা – মেজর জে. (অব.) আবদুর রহমান খান – স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়- সাবেক সেনাকর্মকর্তা।
-উপদেষ্টা – ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ – অর্থ এবং পরিকলনা মন্ত্রণালয়- অর্থনীতিবিদ।
-উপদেষ্টা – সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী – যোগাযোগ, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়- ব্যবসায়ী।
-উপদেষ্টা – ড. নাজমা চৌধুরী – শ্রম ও জনশক্তি, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়- অধ্যাপক উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
-উপদেষ্টা – ড.জামিলুর রেজা চৌধুরী – বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজসম্পদ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়- বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।