নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: মিয়ানমার থেকে ৫ হাজার মে.টন পেঁয়াজ আমদানি করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এর প্রথম চালান ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে। বাকীগুলো পর্যায়ক্রমে বাজারে আসবে। ব্যবসায়ীরা সরকারকে আশ্বস্ত করেছেন- এখন থেকে দেশে আর পেঁয়াজের সংকট হবে না। ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর অল্পদিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সেখানে দর বেড়েছে। সংগত কারণে এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে। এটা সাময়িক বিষয়।
বাণিজ্যমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের চাহিদা মোতাবেক ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার, চিন ও পাকিস্তান থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। ঈদ কে সামনে রেখে যাতে কোনো মহল পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পেঁয়াজ আমদানি সহজ করতে যে সকল নৌ ও স্থল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়, সে সকল বন্দরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় দায়িত্ব পালন করছেন। পেঁয়াজ আমদানিকারকদের সরকার সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের টিসিবির পেঁয়াজ স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। পেঁয়াজের আমদানি, সরবরাহ এবং মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে আরও বেশি তৎপর হতে বলেছেন। দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। পেঁয়াজ নিয়ে যাতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র না হয় বা কৃত্রিম উপায়ে পেঁয়াজের সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধি করা না হয়, সেদিকে কঠোর নজরদারি করতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানিকারকদের সুবিধার্থে ব্যাংকলোনের সুদের হার এবং এলসি মার্জিন কমানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ জানিয়েছে।
রবিবার মন্ত্রণালয়ে পেঁয়াজের আমদানি, মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের তিনি এ নির্দেশনা দেন। সরকার পেঁয়াজের আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সবধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার, চিন ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে আমদানিকারকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রি.জে. সারওয়ার জাহান তালুকদার পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে টেকনাফে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করেছেন। জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে খুচরা বাজারে এ আমদানিকৃত পেঁয়াজ পৌঁছে গেছে।
টিসিবি রোববিবার ঢাকাসহ দেশব্যাপী নির্ধারিত ডিলারদের মাধ্যমে ট্রাকসেলে সাশ্রয়ীমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।