BGMEA_pressনিউজবাংলা২৪ডটনেট:: ভাংচুর নৈরাজ্য বন্ধ না হলে ঈদের আগে বেতন বোনাস দিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পোশাক শিল্পের নেতারা। তাছাড়া ন্যূনতম মজুরি ইস্যুতে পোশাক শিল্পে নতুন করে সংকট তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তারা। মঙ্গলবার বিজিএমইএর সম্মেলন কক্ষে তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মানান কচি সাংবাদিকদের জানান, দেশের পোশাক শিল্প এখন নাজুক সময় পার করছে। শিল্পের ভবিষৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, পোশাক শিল্পকর্মীদরে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের কাজ করছে নিম্নতম মজুরি বোর্ড। কিন্তু এমন সময় ভাংচুর, সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভসহ নানা ষড়যন্ত্র ও অসন্তোষ চলছে। এমন অস্থিরতা থাকলে ক্রেতাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পোশাক উৎপাদন ও জাহাজীকরণ করা সম্ভব হবে না। তাতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিতে পড়ার আশঙ্কা থাকে। সামনে ঈদ ও পূজা। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মালিকরা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিবে কি করে। পোশাক শিল্পের এখনকার অবস্থা নিয়ে বিবিসিসহ কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কারখানাগুলোতে তদন্তের পর যদি সত্যতার প্রমাণ মেলে তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। যখন পোশাক শিল্প উন্নয়নের জন্য আইএলওর সমন্বয়ে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স কাজ করছে ঠিক সেই সময়ে এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়।

 এ সময় সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বলেন, পোশাক শিল্প ধবংসে একাটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র জড়িত বলে মনে করেন তিনি। আর এর জন্য তাদের কাছে তথ্য আছে বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর আমরা পোশাক শিল্পের ইমেজ পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। তারপরও মজুরি নিয়ে এমন সংকট নিরসনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, আমদানিনির্ভর পোশাক শিল্পে হরতাল, অবরোধের কারণে ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও আমরা অনেক কিছু করতে পারি না। এমন কোন কথা বলা উচিত নয় যাতে উস্কানির সৃষ্টি হয়। এসব নিয়ে আমরা আবার সরকারের সঙ্গে বসবো। সমস্ত বিষয়টা এখন দেশের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।

 তিনি বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই মজুরি বোর্ডকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমরা বলেছি। আর এই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে হবে। যে সিদ্ধান্ত হবে তা মালিকে মেনে নিবে বলে জানান তিনি। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেন একটা যৌক্তিক মজুরি কাঠামোর সিদ্ধান্ত হয় তার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *