১৮ মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে-সেনাপ্রধান
ছাত্র-জনতার তুমুল বিক্ষোভের জেরে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। সেইদিনেই সামরিক হেলিকপ্টারে ভারত পালাতে বাধ্য হন। এরপর থেকে ভারতেই অবস্থান করছেন তিনি। হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার ইতোমধ্যে দেশের প্রধান প্রধান খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানান তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া প্রধান প্রধান সংস্কার কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করার জন্য ‘যাই হোক না কেন’ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান, যাতে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
রয়টার্স বলছে, গত আগস্ট মাসের শুরুর দিকে জেনারেল ওয়াকার এবং তার সেনারা হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন প্রবল বিক্ষোভে তাদের পাশে দাঁড়ায় এবং এর মাধ্যমে হাসিনার ১৫ বছরের ক্ষমতায় থাকার পর অপসারণ নিশ্চিত হয়ে যায়, তিনি প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যান।
হাসিনার বিদায়ের কয়েক সপ্তাহ আগে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সংস্কারের পর গণতন্ত্রে উত্তরণ এক বছর থেকে দেড় বছরের মধ্যে করা উচিত। তবে এই সময়ে তিনি ধৈর্য ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জেনারেল ওয়াকার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এবং তিনি (সেনাপ্রধান) প্রতি সপ্তাহে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বলে জানিয়েছেন তিনি।