অবশেষে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন গেলো দুটি জাহাজ, নিরাপদে ফেরার অপেক্ষা

নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ ও নাব্যতা সংকটের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন পর এই রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি মেলায় শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টায় টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে ৬১০ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস নামে দুটি জাহাজ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি মেলায় আজ সকালে পারিজাত ও রাজহংস পরীক্ষামূলকভাবে সেন্টমার্টিন রওনা দিয়েছে। ৬১০ জন যাত্রী দুই জাহাজে রয়েছে। সাড়ে ১২টার দিকে জাহাজ দুটি সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে। সেন্টমার্টিন থেকে নিরাপদে জাহাজ দুটি ফিরতে পারলে অন্যান্য যাত্রীবাহী জাহাজও শনিবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলবে।’
এদিকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলে ভ্রমণপিপাসুদের মাঝে খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থী মাসুম বলেন, ‘টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে আশাটা পূরণ হলো। প্রিয়জনদের নিয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করে আসতে পারবো ভেবে ভালো লাগছে।’
সন্ধ্যায় জাহাজ চলাচলের অনুমতির খবর শুনে রাতেই টিকিট কেটেছেন চট্টগ্রামের পটিয়ার নজরুল হোসেন। রাতের মধ্যে কক্সবাজার চলে আসেন তিনি। পরে ভোরে টেকনাফ দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছে সেন্টমার্টিন যাত্রা করেন। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার পাশের জেলা হওয়ায় পৌঁছাতে বেশি সময় লাগেনি। অনেকদিন ধরে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। যেহেতু ছুটি শেষ হওয়ার আরো ৪ দিন আছে তাই সেন্টমার্টিন যাচ্ছি।’
সেন্টমার্টিন পর্যটন ব্যবসায়ী তৈয়ব উল্লাহ জানান, এ সিজনে প্রথমবারের মতো টেকনাফ-সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। অনেক দেরিতে হলেও এটা দ্বীপের সাধারণ মানুষ ও বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বস্তির সংবাদ। অন্তত দমবন্ধ থাকা মানুষদের একটা নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পর টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল করছে জেনে দ্বীপবাসী অত্যন্ত খুশি। কারণ দীর্ঘদিন ধরে পর্যটক খরায় ভুগেছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার থেকে জাহাজ আসতে পারলেও অনেকের দ্বারা তা সম্ভব ছিল না। অবশেষে কম খরচে টেকনাফ থেকে পর্যটক সেন্টমার্টিনে আসতে পারছে। এতে করে পর্যটক বাড়বে এই দ্বীপে।
ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবে পর্যটন খাত বলেও জানান তিনি।