গায়ের জোরে অলিখিত বাকশাল কায়েম করে ক্ষমতায় থাকার সাধ পূরণ হবে না-মোশাররফ হোসেন Reviewed by Momizat on . নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে প্রশাসনযন্ত্রে অন্তরীণ করে রেখেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছ নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে প্রশাসনযন্ত্রে অন্তরীণ করে রেখেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছ Rating: 0
You Are Here: Home » ফিচার » গায়ের জোরে অলিখিত বাকশাল কায়েম করে ক্ষমতায় থাকার সাধ পূরণ হবে না-মোশাররফ হোসেন

গায়ের জোরে অলিখিত বাকশাল কায়েম করে ক্ষমতায় থাকার সাধ পূরণ হবে না-মোশাররফ হোসেন

mosaraf_hossain_bnpনিউজবাংলা২৪ডটনেট:: আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে প্রশাসনযন্ত্রে অন্তরীণ করে রেখেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, “গায়ের জোরে জনমত উপেক্ষা করে অলিখিত বাকশাল কায়েম করে ক্ষমতায় থাকার সাধ পূরণ হবে না। জনগণ তাদের এই অলিখিত বাকশালকে প্রত্যাখ্যান করেছে।শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবদিন ফারুক। আন্দোলনে অনেকে সক্রিয় ছিলেন না এমন দাবি অস্বীকার করে মোশাররফ বলেন, কারো কোনো অবহেলা ছিল না। খালেদা জিয়া যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন, তা সফল হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জিয়ার আদর্শে সবাইকে আগামী দিনের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। “আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে দাবি করে মোশাররফ বলেন, “এই সংসদের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে সরকার। তা আমাদের উদ্ধার করতে হবে। আজকে যারা ক্ষমতায়, তারা অতীতেও বাকশাল কায়েম করেছে। এখনো সেই পথে তারা।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “যারা দেশের ভালো চায় না, তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ জোট পিঠা ভাগাভাগি করে সংসদকে বিরোধী দলবিহীন করেছে।” স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, “আমরা একদলীয় গণতন্ত্রের শিকার হয়েছি। সরকারি দল বিরোধী দল একাকার হয়ে গেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।”
প্রবীণ সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, “সংগ্রাম শেষ হয়ে যায়নি। সংগ্রাম সামনে চলবে। এই সংগ্রাম গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের জন্য। আরেকটি যুদ্ধে অংশ নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।” বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক বলেন, “যারা মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে, জিয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। তারা আবরো ক্ষমতায় এসেছে। আমাদের আন্দোলন তাদের বিরুদ্ধে। আমাদের এ আন্দোলনকে সরকার পরাভূত করতে পারেনি। আন্দোলন সামনে আছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ও তারেক রহমানের প্রেরণায় আন্দোলন সফল হবে।”
ওসমান ফারুক বলেন, “আজকে আমাদের ঐক্যের দিন। কে মাঠে নামলো আর না নামলো সেটা দেখার বিষয় না। এই অপশক্তিকে পরাভূত করতে আমাদের সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।” নির্বাচন প্রসঙ্গে ওসমান ফারুক বলেন, “৫ জানুয়ারীর নির্বাচন গণতন্ত্রের কালো দিবস। ওই নির্বাচনে ভোট চুরির মহোৎসব চলেছে।”
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়াস করিম বলেন, “আজকের দিনে আমাদের একজন জিয়াউর রহমানের প্রয়োজন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আজকে সীমান্তে মানুষ হত্যা করে, ফেলানীকে হত্যা করে, আমাদের পানি থেকে বঞ্চিত করে।” পিয়াস করিম বলেন, “আমাদের হতাশ হলে হবে না। আরো বেশি উদ্যম ও শক্তি নিয়ে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছেড়ে দেব না। আজকে কথা বলছি, হয়তো কালকে কথা বলতে পারব না। গ্রেফতার হতে হবে, খুন হতে হবে। তাই বলে এক মুহূর্তের জন্য লড়াই থেমে যাবে না। পৃথিবীর কোনো স্বৈরাচারী সরকার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, শেখ হাসিনাও পারবে না।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, প্রবীণ সাংবাদিক ড. মাহফুজউল্লাহ, বিএফইউজের (একাংশের) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ প্রমুখ।

About The Author

Number of Entries : 3366

Leave a Comment

Scroll to top