
রংপুর অঞ্চলে ব্যালক বাক্স গেছেন সাড়ে তিন হাজার। আর সিল গেলে এক লাখ ৪৫ হাজারটি। রাজশাহীতে ব্যালক বাক্স গেছে চার হাজার। সিল গেছে পৌনে দুই লাখ। খুলনায় ব্যালক বাক্স গেছে চার হাজার আর সিল এক লাখ ৪০ হাজার। বরিশালে দুই হাজারটি ব্যালট বাক্সের বিপরীতে সিল গেছে ৭২ হাজার, ময়মনসিংহে সাড়ে চার হাজার ব্যালট বাক্সের বিপরীতে সিল গেছে এক লাখ ৪৭ হাজার। আর ঢাকায় ১৩ হাজার ৬৬০টি বাক্স এবং এক লাখ ৬৬ হাজার লি, ফরিদপুরে দুই হাজার ব্যালক বাক্স এবং ৫৫ হাজার সিল, সিলেটে দুই হাজার ব্যালক বাক্স এবং ৭৫ হাজার সিল, কুমিল্লায় এক হাজার ৮৪০ ব্যালট বাক্স এবং ১ লাখ ৩০ হাজার আর চট্টগ্রাম আড়াই হাজার ব্যালট বাক্স এবং ৯৫ হাজার সিল পাঠানো হয়েছে।
আগামী নির্বাচনে ভোটে কাজ করবেন প্রায় সাড়ে ছয় লাখ কর্মকর্তা। তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়েও প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে কমিশন। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকায় প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার কথা আছে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেবেন তারা। এই কার্যক্রম চলবে ভোটের দুই থেকে তিনদিন আগ পর্যন্ত।
নির্বাচনের জন্য আরেক প্রস্তুতি ব্যালট পেপার ছাপার কাজ অবশ্য শুরু করতে হবে প্রার্থীতা চূড়ান্ত হওয়ার পর। তবে এর জন্য কাগজ এবং কালি কিনে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। নয় কোটিরও বেশি ব্যালট পেপার ছাপা হবে বিজি প্রেসে। অন্য নির্বাচনের মতো এবার অবশ্য ভোটের আগের দিন পর্যন্ত ভোটার হওয়া যাবে না। ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ শেষ করতে হবে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত।
এখন কথা হচ্ছে ভোট কবে হবে। নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটের পর নির্বাচিতদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে অন্তত ১০ দিন সময় দরকার হয় নির্বাচন কমিশনের। তাই ১৫ জানুয়ারির আগেই ভোট শেষ করার কথা ভাবছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেয়া, বাছাই, প্রত্যাহারের জন্য সময় লাগে তিন সপ্তাহের বেশি। এরপর প্রার্থীদেরকে প্রচারের জন্য সাধারণত আরও তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হয়। সব মিলিয়ে ভোটের ৪০ থেকে ৪৫ আগে ঘোষণা করা হয় তফসিল।
এই হিসাবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ঘোষণা হতে পারে তফসিল। কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, গত নির্বাচনের তুলনয় এবার ভোটার বেড়েছে ৭০ লাখেরও বেশি। তাই নির্বাচনী সামগ্রীও লাগবে বেশি। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় মাঠে এগুলো জমা আছে। তবে সব মালামাল প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভাণ্ডারে রাখা হবে।