নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। বাকিদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন এবং একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রায় দেয়। রায়ে আপিল খারিজ করে আসামি সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। রায়ে পলাতক আসামি সেলিম চৌধুরীকে খালাস দেয়া হয়েছে। নিম্ন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। হাইকোর্টে অবশ্য তার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শুনানি করেন।
আর বিচারিক আদালতে ফাঁসির আদেশ পাওয়া মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলামের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তারা কারাগারে রয়েছেন। গত বছরের ৫ই মার্চ মধ্যরাতে গুলশানে নিজের বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর পুলিশ গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
আর সাড়ে চার মাস পর চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ওবায়দুল হক গত ২০শে সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়ার পর ৩১শে অক্টোবর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। সাইফুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় মোট ৩৩ জন সাক্ষ্য দেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারিক আদালত গত ৩০শে ডিসেম্বর পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
পরে তা ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। গত ১লা আগস্ট এ বিষয়ে শুনানি শুরুর পর ৩রা নভেম্বর তা শেষ হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. খোরশেদুল ইসলাম। আর কারাগারে থাকা চার আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খবীর উদ্দিন ভূঁইয়া ও আমিনুর রশিদ রাজু। পলাতক আসামি সেলিম চৌধুরীর পক্ষে আদালত নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মাহমুদা খাতুন।