নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মন্ত্রিসভার সকল সদস্য পদত্যাগ করলেও অন্তত আরো এক সপ্তাহ স্বপদে বহাল থেকে দায়িত্ব পালন করে যাবেন মন্ত্রীরা। রাষ্ট্রপতি যতক্ষণ পর্যন্ত মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গ্রহন না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে যাবেন।স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, মন্ত্রী পরিষদের সকল সদস্যরা তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মাত্র। তবে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রীরা পূর্বকালীন দায়িত্ব পালন করে যাবেন। সংবিধানের ৫৮/১ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মন্ত্রীরা রাষ্ট্রপতি বরাবর লিখিত ভাবে তাঁদের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর নিকট জমা দিয়েছেন।
তিনি জানান, সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করবেন মন্ত্রী সভার আকার বা সংখ্যা কতজন হবে। সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদে মন্ত্রী সভা গঠনের সর্বময় ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয়েছে। সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রী পরিষদে তিনি কাকে রাখবেন এবং কাকে বাদ দিবেন তাও প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারভূক্ত। প্রধানমন্ত্রী যাদের পদত্যাগপত্র গ্রহন করে তা কার্যকরের পরামর্শ দেবেন এবং পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির নিকট প্রেরণ করবেন কেবল মাত্র তারাই মন্ত্রীত্ব হারাবেন। যাদের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রী রেখে দেবেন তাঁদের মন্ত্রীত্ব বহাল থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রীসভায় বর্তমান মন্ত্রীসভার বাইরে থেকে যাদের অন্তর্ভূক্ত করা হবে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির নিকট পাঠাবেন এবং মন্ত্রী হিসেবে তাঁদের শপথ পাঠ করানোর জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবেন। সংবিধানের ৫৬/২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নতুন মন্ত্রীদের শপথ পাঠ করাবেন। যারা মন্ত্রী হিসেবে থেকে যাবেন তাঁদের নতুন করে শপথ নেয়ার প্রয়োজন হবে না। সরকারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সোমবারই মন্ত্রী সভার শেষ বৈঠক এটা সঠিক নাও হতে পারে। আগামী ১৮ নভেম্বর সোমবার মন্ত্রী সভার আরো একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। কেননা সংসদ এখনো বহাল আছে এবং আগামী ১৮ নভেম্বর সংসদ অধিবেশন আবার বসবে।
সংসদের ওই অধিবেশনে মন্ত্রীদের প্রয়োজন থাকতে পারে। কেননা সংবিধানের ৫৫/৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মন্ত্রীরা সংসদের কছে দায়ী থাকবেন বলে উল্লেখ রয়েছে।