নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: বাংলাদেশই যুদ্ধবিমান তৈরি করতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, চার জাতীয় নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী এসময় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নানা কার্যক্রম, তাদের অবদান এবং সরকার গৃহীত নানা উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ভিশন টোয়েন্টি টোয়েন্টি ওয়ান বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধ পরিকর। সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। বিদেশ থেকে নানা ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি, বিমান, হেলিকপ্টার, রাডার কেনা হয়েছে। সেনাবাহিনীর জন্য সিলেট, বান্দরবানসহ কয়েকটি জেলায় আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চলছে। শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে নৌবাহিনীর জন্যও। মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে সমস্যা দূর হয়েছে। আমরা নতুন সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে সমস্যার সমাধান ২০১৪ সালেই হবে বলে আশা করছি। আমরা এতেও জিতব বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, খুলনা নৌ-ইয়ার্ডেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সব ফ্রিগেট, জাহাজ কেনা হয়েছে। নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক চৌকষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে সরকার। নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হচ্ছে অত্যাধুনিক সাবমেরিন। পটুয়াখালীতে গড়ে তোলা হচ্ছে নৌবন্দর।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমানের যন্ত্রাংশ তৈরিতে অনেক এগিয়েছে। একসময় বাংলাদেশ নিজেই যুদ্ধবিমান তৈরি করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। সশস্ত্র বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সশস্ত্রবাহিনী দেশ ও জাতির অহংকার। আমরা সশস্ত্র বাহিনীর চাকরির বয়সসীমা বাড়িয়েছি। সশস্ত্রবাহিনীকে শক্তিশালী ও আধুনিক করে গড়ে তুলতে যা যা প্রয়োজন আমরা তার সবই করেছি। সাভারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাসদস্যদের জন্য আবাসনের কাজ চলছে। সেনাবাহিনীর প্রতি দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সব দুর্যোগে সেনাবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিদেশেও তারা সুনাম অর্জন করেছে। এরপর সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বক্তব্য শেষ করেন।