নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: আগেই বলা হয়েছিল এটি হবে পৃথিবীর মাটিতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। আগাম সতর্কতা হিসেবে ফিলিপাইন তার উপকূলবর্তী হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়েও নিয়েছিল। কিন্তু তারপরও ধ্বংসযজ্ঞ আর ব্যাপক প্রাণহানি এড়ানো যায়নি।এখন পর্যন্ত এই প্রলয়ংকরী ঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির পুলিশ। শনিবার এই মৃতের সংখ্যা রেড ক্রসের হিসাবে ১২০০ বলা হলেও ঠিক তার একদিন পর তা কয়েক গুণ বেড়ে গেলো।
ফিলিপাইনের লেইতি প্রদেশের আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান এলমার সোরিয়া জানান, তিনি প্রাদেশিক গভর্নরকে জানিয়েছেন শুধুমাত্র পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপেই কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ও বহু আহত হয়েছে। এছাড়া ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া লেইতির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত টেকলোবান শহরের প্রশাসক টিকসন লিমও জানিয়েছেন মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে।
এদিকে দেশটির স্বারাষ্ট্র সচিব মার রোক্সাস জানিয়েছেন, দুর্গত অঞ্চলে ত্রান তৎপরতা পূর্ণ গতিতেই চলছে। কিছু কিছু জায়গা এখনো কাদার এবং ধ্বংসাবশেষের স্তুপ হয়ে আছে বলেও জানান তিনি। ফিলিপাইনের সিভিল এভিয়েসন দপ্তরের সহ. প্রধান ক্যাপটেন জন এন্ড্রু তার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমি আমার জীবনে এমন ধ্বংসযজ্ঞ দেখিনি।’
এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের দুর্গত অঞ্চলে উদ্ধার কাজে নৌ ও বিমান সাহায্য দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। শনিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চাক হেগেল এই সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড় হাইয়ান প্রতিঘণ্টায় প্রায় ১৯৫ থেকে ২৩৫ মাইল বেগে এবং ৪ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত সামুদ্রিক ঢেউ নিয়ে ফিলিপাইন উপকূলে আঘাত হানে।