tarek-mamunনিউজবাংলা২৪ডটনেট:: অর্থপাচার (মানি লন্ডারিং)মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।রবিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মোতাহার হোসেন রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে রায়ের এই তারিখ ধার্য করেন। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকা ঘিরে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে বসানো হয়েছে। সবাইকে তল্লাশি করে আদালতের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আদালতে হাজির করে। আদালতে দুই পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত আছেন। উপস্থিত আছেন গণমাধ্যমের কর্মীরা।

গত ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

প্রসঙ্গত, তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছেন। চিকিত্সার জন্য ২০০৮ সালে তিনি উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে ওই দেশে যান। পরে তাঁর জামিন বাতিল করে এই মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন দেওয়া হয়। তিনি না আসায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে পলাতক ঘোষিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী তাঁর পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এর আগে মানি লন্ডারিংয়ের পৃথক মামলায় তারেকের ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর ছয় বছর সাজা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *