নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে যে তথ্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন ও দুর্ভাগ্যজনক। তার এ বক্তব্যে আমি স্তম্ভিত। তার বক্তব্য আমাকে ও জাতীয় পার্টিকে জাতির সামনে হেয় করেছে।সোমবার দুপুরে বনানীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের খবর গণমাধ্যমে সঠিকভাবে না আসায় এরশাদ এ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে অংশ নেন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির ১৫ নেতা। হাসিনা-এরশাদ বৈঠক প্রসঙ্গে পরে ব্রিফিং করেন দুই দলের মহাসচিব সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও রুহুল আমিন হাওলাদার। আশরাফ দাবি করেন, আগামী নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থাকবে। বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে যাবে। এরশাদ বলেন, আমরা মহাজোটে থাকবো এবং নির্বাচনে অংশ নেবো এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, এখনো দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, কোনো পাতানো নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে না। শেষ বয়সে আমি দালাল হয়ে মরতে চাই না। সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নির্বাচন করবে না জাতীয় পার্টি। এরশাদ বলেন, আমরা একক সত্তা। এককভাবেই নির্বাচনে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে সর্বদলীয় সরকারের যে প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন তার প্রধান কে হবেন, তা আমরা জানতে চেয়েছি। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনিই প্রধান থাকবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরদিনই ঢাকায় সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি ঠিক হয়নি বলেও এরশাদ প্রধানমন্ত্রীকে জানান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘরোয়া সভা-সমাবেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। তবে বাইরে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। কারণ সরকারের কাছে তথ্য আছে, বিরোধী দল নাশকতা করতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর আহমদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।