Khaleda_zia_pasagebe_sনিউজবাংলা২৪ডটনেট:: বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কনভেনশনে বক্তৃতা করছেন কনভেশনের প্রধান অতিথি ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। রবিবার সন্ধ্যা ছয়টায় তিনি বক্তৃতা দেয়া শুরু করেন। এর আগে বিকেল চারটা ১২ মিনিটে খালেদা জিয়া সমাবেশ মঞ্চে হাজির হন। বিকেল সাড়ে তিনটায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মেলন শুরু হয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এই কনভেনশনে বিভিন্ন পেশার শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিক নেতারা যোগ দিয়েছেন। সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মিলনায়তন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কে জেড এম জাহিদ হোসেন।
নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণতন্ত্র-আইনের শাসন, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও  দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি, পেশাজীবীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ এবং পেশার মর্যাদা রক্ষার দাবিতে পেশাজীবীদের  এই জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, সাংবাদিক নেতা ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের শিক্ষকদের আহ্বায়ক সদরুল আমিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, চলচ্চিত্রনির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ কে এম নাজির আহমদ, ড্যাবের সভাপতি আজিজুল হক প্রমুখ।
এর আগে নানা নাটকীয়তার পর বেশ কিছু শর্তের ভিত্তিতে পেশাজীবীদের সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয় দুপুর একটার দিকে। সমাবেশে খালেদা জিয়া বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন বলে জানা গেছে। রবিবার সকাল ১০টায় এ সম্মেলনের অনুমতি বাতিল করে ভেন্যু কর্তৃপক্ষ। তবে ভেন্যু বাতিল হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যথাসময়ে সম্মেলনে যাওয়ার ঘোষণা তেন পেশাজীবী নেতারা। কনভেনশনে আহ্বায়ক সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এক মাস আগে হল বুকিং দিয়েছি। এখন হুট করে তা বাতিল করলেই আমরা তা মেনে নেব না। আমরা যথাসময়ে প্রধান অতিথিকে নিয়ে সমাবেশস্থলে যাবো।”
এদিকে, রবিবার সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ঘিরে রাখে বিপুলসংখ্যক পুলিশ। প্রস্তুত রাখা হয় প্রিজন ভ্যান ও জলকামান। তবে শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দেয়ার পর অতিরিক্ত পুলিশ সরিয়ে নেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *