নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংলাপের যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। একই সঙ্গে ২৫ তারিখে রাজধানীসহ সারাদেশে যে কোন মূল্যে সমাবেশ করার ঘোষণাও দিয়েছে বিরোধী দল বিএনপি। তারা বলেছে সমাবেশে বাধা দিলেই অবরোধসহ কঠোর কর্মসুচী দেয়া হবে। বুধবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ১৮ দলের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, “সংলাপের যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে সভা-সমাবেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব। আমরা রাজধানীসহ সারাদেশে জেলা ও উপজেলা সদরে সমাবেশ করবো। আশা করি সরকার, সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধ্বাজ্ঞা তুলে নেবে।” নাশকতা হতে পারে বলে পুলিশের কাছে তথ্য আছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা বলেন আমরা নাশকতা করতে পারি, তারাই নাশকতা ঘটান। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সমাবেশ করতে চাই। আমরা কোন নাশকতা করতে চাই না। নাশকতার মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে বিশ্বাস করি। ২৫ অক্টোবর হবে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ।”
অন্তর্বরতীকালীন সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাব সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “এটি একটি প্রস্তাব। এর সমালোচনা নয়। এর ভিত্তিতে আলোচনা হতে পারে।” ১৮-দলীয় জোট খালেদা জিয়ার প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, “২৫ অক্টোবর সামনে রেখে সরকার গণগ্রেফতার শুরু করেছে। সারা দেশে কয়েক শ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন মাদরাসায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে, ছাত্রদের নাজেহাল করা হচ্ছে।” এ ধরনের তল্লাশি ও গ্রেফতার বন্ধ করার দাবি জানান তিনি। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, লেবার পার্টির হামিদুল্লাহ মেহেদী, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, কল্যাণ পার্টির আব্দুল মালেক চেীধুরী, এনপিপির ফরিদুজ্জামানসহ ১৮ দলের মহাসচিব পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
