নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: যেকোনো মূল্যে একতরফা নির্বাচন ঠেকাতে ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক সংগ্রাম কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ১৮ দলের নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে তিনি এই নির্দেশ দেন।বেগম জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের ইচ্ছামতো সংবিধান সংশোধন করে তার অধীনে নির্বাচন করতে চায়। তারা চিরদিনের জন্য ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু তাদের সে আশা পূরণ করতে দেয়া হবে না। তাদের একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। এ জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রাম গঠনের কথা জানান তিনি।
বি্এনপির চেয়ারপারসন বলেন, “২০০৭ সালে সংবিধানের অধীনে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে সরকার গঠনের বিধান ছিল। আওয়ামী লীগ তখন সংবিধান মানেনি। এখন তারা সংবিধানের দোহা্য় দেয়। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগের আপত্তি থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কেন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।” তিনি আরো বলেন, সেদিন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে আজ বিএনপির নির্বাচনে অংশ নিতে আপত্তি থাকার কথা ছিল না।
বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা ও নানা তৎপরতার কথা উল্লেখ করে বলেন, “এখন একটাই দাবি, হটাও আওয়ামী লীগ বাঁচাও দেশ, হটাও হাসিনা বাঁচাও দেশ।” এ সময় সমবেত জনতা তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্লোগান দিতে থাকেন।
বর্তমান সরকার সিলেটের কোনো উন্নয়ন করেনি অভিযোগ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সিলেটের ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে সিলেটে মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা প্রভৃতি।
বিএনপির নেতা ইলয়াস আলীর গুমের বিষয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, “ইলিয়াস আলী টিপাইমুখ নিয়ে আন্দোলন করেছেন। এই আন্দোলনের কারণেই তাকে গুম করা হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে জানতে চাই, ইলিয়াস আলী কোথায়ই, তার সন্ধান দিতে হবে।” তিনি ইলিয়াস আলী গুমের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং সিলেটবাসীর কাছে এর বিচার দাবি করেন।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পর্যন্তই এর কাজ থামানোর দাবি জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “এই বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে দেয়া হবে না। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে কেউ রক্ষা পাবো না, দেশ রক্ষা পাবে না। সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে।”