labaidনিউজবাংলা২৪ডটনেট:: অবশেষে নিজেদের ভুল চিকিৎসাকে ‘গাফিলতি’ হিসেবে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুমের উন্নত চিকিৎসার দায় নিল ল্যাবএইড। নিজেদের ভুল সরাসরি স্বীকার না করলেও চিকিৎসায় গফিলতি ছিল বলে স্বীকার করে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ। মাসুমের উন্নত চিকিৎসার জন্য যতদ্রুত সম্ভব সিঙ্গাপুর পাঠাতে সম্মত হয়েছে তারা। সেখান থেকে যদি মাসুমের ক্যান্সারকে নিরাময় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়, তাহলে তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিবে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ। ঢাবি প্রক্টর অফিস সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী জানান, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য ল্যাবএইডের পক্ষ থেকে মাসুমকে  সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যদি দেখা যায় কেমোথেরাপির মাধ্যমে মাসুমকে বাঁচানো সম্ভব, তবে কেমোথেরাপি দেয়া হবে। তবে সেখানকার ডাক্তাররা যদি ঘোষণা করেন যে মাসুমের আর বাঁচার কোনো সম্ভাবনা নেই, তাহলে মাসুমকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে’টাকার অঙ্ক কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৩০ লাখের নিচে হবেনা।’ ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের বাসভবনে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় মাসুমের পরিবারের সদস্যরাসহ উপস্থিত ছিলেন তার বিভাগের শিক্ষকরা। ল্যাবএইডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অভিযু্ক্ত ডাক্তার আমজাদ হোসেনসহ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এম শামীম এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির পরিচালক ডা. মাহবুবুল ইসলাম । আলোচনার মধ্যস্থতা করেন ঢাকা-৭ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। শুক্রবার ধানমন্ডির একটি রেস্তোরায় এ ব্যাপারে আলোচনা হলেও কোন সিদ্ধান্তে না আসতে পারায় ঢাবি উপাচার্যর উপস্থিতিতে শনিবার আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অনিবার্য কারণে সে আলোচনা শনিবার না বসে রবিবার রাতে হয়। উল্লেখ্য, ল্যাবএইডের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের ভুল চিকিৎসা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে এর ক্ষতিপূরণের দাবিতে গত বুধবার ল্যাবএইডের সামনে কয়েকশ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এর আগে একই হাসপাতালের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার ফলে ২০১১ সালের আগস্টে মারা যান বিশিষ্ট সংগীত গবেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মৃদুল কান্তি। হাইকোর্টেও মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ায় মৃদুল কান্তির পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা দেয় ল্যাবএইড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *