
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জয়পুরহাট জেলার হিন্দু সম্প্রদায়সহ স্বাধীনতাকামী মানুষের ওপর অমানুষিক নির্যাতন, হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, আটক ও দেশান্তরের মতো ১৭টি অভিযোগে গত ২২ সেপ্টেম্বর আলীমের মামলাটি বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়।
ওইদিনই প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আলীমের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে বিচার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে জামিনে ছিলেন আলীম। বিএনপির সাবেক এ নেতার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৭টি অভিযোগের মধ্যে ১৫টিতে বিভিন্ন ঘটনায় মোট ৫৮৫ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, আটক ও দেশান্তরে বাধ্য করার ঘটনায় পৃথক দুইটি অভিযোগ আনা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইন-১৯৭৩ এর ৩(১), ৩(২)(এ), ৩(২)(সি), ৩(২)(জি), ৩(২)(আই), ২০ (২) এবং ৪(১) ও ৪(২) ধারা অনুসারে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। হত্যার অভিযোগের মধ্যে তিনটি গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে যাতে মোট ৪০৬ জনকে হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শহীদদের বেশিরভাগই ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের। এছাড়া যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় ‘সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির’ জন্যও অভিযুক্ত করা হয়েছে আব্দুল আলীমকে।