নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি করেছে দলটি। সোমবার রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অসুস্থ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে দেখতে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।পরে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এতে তার (খালেদা জিয়ার) প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল অব. আবদুল মজিদ ও নিরাপত্তা কর্মী এনাম আহমেদ লাঞ্ছিত হন।পরে সেখান থেকে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে আটক করে পুলিশ।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, “অসুস্থ রিজভীকে দেখে বের হওয়ার সময় বিনা কারণে পুলিশ বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় পুলিশ তার (খালেদা জিয়ার) প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল অব. আবদুল মজিদ ও নিরাপত্তা কর্মী এনাম আহমেদকে লাঞ্ছিত করে এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা এ কাজ করেন। আমরা অবিলম্বে এ ঘটনায় দায়ী পুযলিশ কর্মকর্তার অপসারণ চাই এবং তদন্ত করে তার শাস্তি দাবি করছি” বলেন ফখরুল। একই সঙ্গে টুকুর মুক্তি দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, “সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতার প্রস্তাবের পর পুলিশের এই ধরনের আক্রমণে মনে হয় সমাঝোতার জন্য সরকার আন্তরিক নয়, তারা সমঝোতা চায় না।
রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিষেধ্বাজ্ঞার সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, “আমরা ২৫ অক্টোবর রাজধানীতে এবং একই সঙ্গে জেলা ও উপজেলায় জনসভা করতে চাই। কিন্তু নিষেধ্বাজ্ঞার কারণে রাজধানীতে জনসভা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় গত আটদিন ধরে কার্যত অবরুদ্ধ এমন দাবি করে ফখরুল বলেন, “সেখানে নেতাকর্মীরা যেতে পারছেন না। রুটিন ওয়ার্কও করা যাচ্ছে না। আমরা আশা করি সরকার নয়াপল্টন থেকে পুলিশ সরিয়ে দেয়া এবং নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি বন্ধ করে সংকট সমাধানের পথ উম্মুক্ত করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা ফজলে এলাহী আকবর, সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, শিক্ষা সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।