betherনিউজবাংলা২৪ডটনেট:: যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলোচিত শহীদ ইকবাল বিথার হত্যা মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  মিজানুর রহমান মিজানসহ ৯জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে বৃহস্পতিবার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর হাকিম আমলি আদালত ‘ক’ অঞ্চলের বিচারক মো: জাকির হোসেন টিপুর আদালতে এ চার্জশীট দাখিল করেন খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নাফিউর রহমান। হত্যাকান্ডের ৪ বছরের  পর এ চার্জশট দাখিল হলো।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের কারণে এ মামলার চার্জশিট দাখিল বিভিন্ন সময়ে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে একাধিকবার। স্পর্শকাতর হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণে যায় বিথার হত্যা মামলাটি। প্রভাবশালীদের কারণে দীর্ঘ দিন মামলটি মনিটরিং সেলে পড়ে ছিলো। বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে গত সপ্তাহে  মনিটরিং সেলের অনুমতি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার চার্জশিট দাখিল করা হয়।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামীরা হলেন- খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরদার আনিসুর রহমান পপলু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এস এম মেজবাউল হোসেন বুরুজ, একরাম হোসেন ওরফে সিয়াম ওরফে আকাশ, সুমন হোসেন রাজু, জীবন ওরফে শবে কাদির, লিয়াকত আলি শিকদার, মাসুদ রানা ওরফে রানা, মো: মনিরুজ্জামান মাসুদ ওরফে তোতা মাসুদ।
চার্জশীট থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে মনিরুল সালাম, আসাদ শেখ, মোকলেছুর রহমান পিন্টু, শাহজাহান মিয়া, শেখ মো: হারুন অর রশিদ ওরফে মন্টু শিকদার, জাকির হোসেন,  বাপ্পী, ফরিদ আহমেদ, শরীফ মঞ্জুর হাবিব ওরফে খোকন ওরফে কালা খোকন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১জুলাই রাতে মন্টু শিকদারের মোটরসাইকেলের পিছনে বসে নগরীর মুসলমান পাড়াস্থ  বাসায় ফিরছিলেন  যুবলীগ নেতা শহীদ ইকবাল বিথার। বাসা থেকে অনতিদূরে মেট্রোপলিটন ক্লিনিকের সামনে সন্ত্রাসীরা বিথারকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত বিথারের শ্যালক এস এম রফিউর রহমান বাদী হয়ে পরের দিন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে  খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকার কর্মকর্তা নিযুক্ত হন খুলনা থানার এসআই শাহজাহান সিরাজ। এরপর মামলাটি খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্থানান্তর করা হয়। ডিবির পরিদর্শক মামুন খান, পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম, পরিদর্শক আখতার হোসেন এবং সর্বশেষ পরিদর্শক নাফিউর রহমান মামলাটি তদন্ত করেন।  বিথারের হত্যাকান্ড স্থানীয় রাজনীতিতে দারুণভাবে ঝাঁকুনি দেয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের তৎকালিন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে বিথার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মিছিল সমাবেশ,  অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে চার্জশিট দাখিলের দাবি জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *