নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেছেন, আরপিও সংশোধন ও আচারণ বিধি তৈরি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করলে জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। যে আচরণ বিধি করছেন তা আপাতত বন্ধ করে পকেটে রাখুন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য কাজ করুন। অন্যথায় কালো তালিকাভুক্ত হবেন।বৃহস্পতিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকারের বিভিন্ন বাহিনী কর্তৃক গুলি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১৮ দলের নেতাকর্মীদের হত্যা, জখম, গ্রেফতার ও হয়রানির বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর ১৮ দলীয় জোট আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা। প্রতিবাদ সভা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে করতে চাইলেও বুধবার ডিএমপির পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমিত দেয়। টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালে সারাদেশে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপী সকল উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে ১৮ দল। প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এ ঘোষণা দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার মুখে সমঝোতার কথা বললেও তারা আসলে কোনো সংলাপ ও সমঝোতা চায় না। সে কারণে তারা নানা নাটক করেছে। সরকার সর্বদলীয় সরকারের বিষয়ে সংলাপ করতে চায় এমন দাবি করে তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে আলোচনার হবে এমন কথা বলে সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। বিএনপি চেয়ারপারসন তাকে (প্রধানমন্ত্রী) নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে আলোচনা করার কথা বললেও তা তা মানেননি। দুইনেত্রীর ফোনালাপ প্রকাশকে আইনবিরোধী দাবি করে ফখরুল বলেন, এটা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অপরাধমূলক কাজ। এটা করতে হেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যারা কথা বলেছেন তাদের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু প্রকাশের একদিন আগে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এটা প্রকাশের কথা বলেছেন। এটা প্রকাশ করে ভালো কাজ করেছেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠেছে তিনি (তথ্যমন্ত্রী)এটা সরকারের না জনগণের পক্ষে কাজ করেছেন। তবে প্রমাণ হয়েছে খালেদা জিয়া সত্যিকারের নেতা।
‘সংলাপের ট্রেনে উঠুন, অন্যথায় জামায়াত ও হেফাজতদের নিয়ে পাকিস্তান চলে যান’ খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর এমন বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। তাকে নিয়ে আপনার এমন বক্তব্যে ঔদ্ধত্যের শামিল। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডা. আবদুল্লাহ মো. তাহের, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাজিুর রহমান ইরান, এলডিপির মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ প্রমুখ।
এছাড়া সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবদুল মোবিন, ডিএলের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুন্নবী চৌধুরী ডাবলু প্রমুখ।