ada_teaনিউজবাংলা২৪ডটনেট:: আদা একটি প্রাকৃতিক মশলা। পুরো বিশ্বে আদা একটি জনপ্রিয় উপাদান। কিছু কিছু রান্নায় আদা ছাড়া যেন স্বাদই হয় না। আদাতে আছে নানা প্রকার ঔষধি গুণ। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন ঔষধের বিকল্প হিসেবে আদা ব্যবহার করা হতো। আদায় ভিটামিন এ,সি, ই, বি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সিলিকন, সোডিয়াম, আয়রণ, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও বিটা ক্যারোটিন আছে। আদার ঔষধি গুণ পাওয়ার জন্য কাঁচা, শুকনো, অথবা রস করে খেতে পারেন। জেনে নিন আদার ব্যবহারে ৭ রকম ঘরোয়া চিকিৎসা।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

আদা রক্তের চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ইন্সুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাঁরা সকালে খালি পেটে এক টেবিল চামচ আদার রস পানিতে মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবে। এছাড়াও ডায়াবেটিস জনিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও আদা কার্যকারী।

পেটের সমস্যা দূর করে

আদার কার্মিনেটিভ উপাদান পেট ঠান্ডা করে এবং পেটের সমস্যা দূর করে। আদা পাকস্থলীর মাংসপেশী সিথিল করে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে। ডায়রিয়ার ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও আদার বিকল্প নেই। হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিবার খাওয়ার পড়ে আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। ফুড পয়জনিং হলে আদার রস খান বার বার। খুব সহজেই ভালো হয়ে যাবে পেটের সমস্যা।

হৃৎপিণ্ড ভালো করে

দীর্ঘদিন ধরে আদা সেবন করলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো হয়। আদা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয় এবং রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দূর করে। ফলে হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি কমে। আদায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ আছে যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। আপনার যদি বুক জ্বালা পোড়ার সমস্যা থাকে তাহলে এক কাপ আদা চা খেয়ে নিন। সাথে সাথেই আরাম লাগবে।

ঠান্ডা লাগা ও ফ্লু ভালো করে

নিয়মিত আদা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি সমস্যা কম হয়। এছাড়াও আদায় অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান আছে। ঠান্ডা লাগলে দিনের মধ্যে বেশ কয়েক বার আদা খাওয়ার চেষ্টা করুন। কাঁচা আদা খেতে ভালো না লাগলে আদা চা বানিয়ে খান। বেশ তাড়াতাড়ি ঠান্ডা ভালো হয়ে যাবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে

ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে আদা। ইউনিভার্সিটি অফ মিসিগানের ক্যান্সার রিসার্চে দেখা গিয়েছে যে আদা ওভারি ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ব্রেস্ট ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, মুত্র থলীর ক্যান্সার ইত্যাদির ঝুঁকি কমাতে আদা অতি প্রয়োজনীয় একটা প্রাকৃতিক উপাদান।

মাইগ্রেন উপসম করে

গবেষণায় দেখা গেছে যে আদা রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে মাইগ্রেনের ব্যথায় আরাম দেয়। প্রচন্ড মাইগ্রেনের ব্যথার সময় কপালে আদা বাটা লাগিয়ে শুয়ে থাকুন। অথবা এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ আদার রস মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। সাথে সাথে মাথা ব্যাথা থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পেতে চাইলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। আদা চা খেলেও মাথা ব্যাথায় কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।

কফ সমস্যা কমায়

কফের যন্ত্রণায় যাদের জীবন অতিষ্ট যাদের তাঁরা সঙ্গে কিছু আদা কুচি রাখুন সব সময়। সারাদিন যখনই কফ উপদ্রব করবে তখনই আদা চিবিয়ে খেয়ে নিন। অথবা আদা চা খেলেও কফের সমস্যায় আরাম পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *