নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: আজ রবিবার ১৩ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১১দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে সারা দেশে ইলিশ ধরা ও বিক্রয় নিষিদ্ধ। ২৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা ও বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঠে যাবে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন মৎস্য বিভাগ। ‘প্রজননক্ষম ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচি’ বাস্তবায়নে নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপ নিয়েছে। জলবায়ু প্রভাবের কারণে ঋতু পরিবর্তনের ফলে ইলিশের প্রজনন ও উৎপাদন মৌসুমে হেরফের হওয়ায় গত বছরের মতো এবারও পুরনো সময়সীমা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ১১ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এ বছর সময়সীমা পুনর্বিন্যাস করে ১৩ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০০৫ সাল থেকে মৎস্য বিভাগ ইলিশের নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করতে দেশের উপকূলীয় চারটি প্রধান প্রজননস্থলে নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে। পয়েন্টগুলো হচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লতাচাপলী (আন্ধারমানিক নদীর অববাহিকা), ভোলার উত্তর তজমুদ্দিনের পশ্চিম সৈয়দ আউলিয়া পয়েন্ট, চট্টগ্রামের মীরসরাই শাহের খালী হাইতকান্দী পয়েন্ট, কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া গন্ডামারা পয়েন্টসমূহের অন্তর্গত প্রায় সাত হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা। সাধারণত প্রতি বছর আশ্বিনী পূর্ণিমার জোয়ারের সময় ইলিশ ডিম ছাড়ে। এ সময় ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। তাই এ বছরও মৎস্য বিভাগ আশ্বিনী পূর্ণিমায় ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম ১৩ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর এই ১১ দিন এসব পয়েন্টে ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে। মৎস্য বিভাগ চারটি প্রধান ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রসহ সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ অথবা বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এ বিষয় জেলেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পোস্টারিং, প্রচারপত্র বিতরণসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য অধিদফতর।