Khaleda_zia_Khulna_janasavaসাগর সৈকত:: বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে বসে থেকে বক্তব্য শোনায় আপনাদের সকলকে অভিনন্দন। এই জনসভা গুরুত্বপূর্ণ। খুলনাবাসী এই সরকারকে একটি হলুদ কার্ড দেখিয়েছে সিটি নির্বাচনের সময়। তাদের প্রার্থীর ভরাডুবি করে জনতা সরকারের প্রতি অনাস্থা দেখিয়েছে। এ জন্য এ সরকার জনতাকে ভয় পায়। ভয় পাছ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে।যশোর থেকে খুলনা আসার পথে জনতার যে স্রোত দেখা গেছে তা এ সরকারের জন্য আতঙ্কের বলে তিনি মনে করেন। আসার পথে দেখেছি এ অঞ্চলের রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। যে সরকার রাস্তাঘাটের অবস্থার উন্নতি করতে পারে না সেরকারের দ্বারা উন্নয়রন আশা করা যায় না। এ সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখা যায় না। এমন উন্নয়ন করেছে তা জনতা দেখতে পারে না। তাদের উন্নয়ন হয়েছে ব্যক্তিগত উন্নয়ন। হলমার্ক, ব্যাংক কেলেঙোগারী দিয়ে তারা প্রমাণ করেছে।
খুলনার উন্নয়নে রূপসা সেতু আমরা করেছি। আমরা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার সময় আওয়ামীলীগ হরতাল দিয়ে বাধাগ্রস্ত করেছে।
এ নগরী শিল্প শহর। কিন্তু আওয়ামীলীগ এই মিল্প শহনরকে ধ্বংস করেছে। পাটের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা খুলনার ব্যাপবক উন্নয়ন করেছি। আমরা খুলনাকে আবার মিল্প শহরে পরিণত করব। পাট শিল্পকে আমরা ফিরিয়ে আনব। এ অঞ্চলের মসানুষের দাবি ছিল পদ্মা ছিল। এ সরকার পদ্ম সেতুর অর্থ দুনীতি করে পকেটে ভরেছে। সেতুর কাজ করার আগেই দুর্নীতি শুরু করল। ফলে পদ্মা সেতু আর করা গেল না। ওয়াল্প ব্যাংক দুর্নীতি ধরিয়ে দিয়েছে।
আমরা ক্ষমতায় এলে পদ্মা সেতু হবে। আমরা একটা নয়, ২টি পদ্মা সেতু করব। একটি মাওয়ায়। অন্যটি দৌলতদিয়া পাটুরিয়ায়।

এ সরকার আগেও ক্ষমতায় ছিল ১৯৯৬ সালে। সে সময় শেয়ার বাজার লুট হয়। এ সরকার আবারও ক্ষমতায় এসে শেয়ার বাজার লুটপাট করে। শেয়ার বাজার গরীবের টাকায় চলে। ৩৩ লাখ লোকের টাকা এ সরকারের পকেটে। দেড় কোটি মানুষের মাঝে আজ হতাশা। এ সরকার ৫টি সরকারি ব্যাংককে দেউলিয়া করেছে। যা পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। সরকারি ব্যাংকও আজ টিকছে। সবচেয়ে বড় ব্যাং সোনালী ব্যাংক। যে ব্যাংকটি আজ চরম অবস্থায় রয়েছে। এই ব্যাংকটি বিএনপির সময় যে অবস্থায় ছিল, আগামী এইে ব্যাংকে ওই অবস্থায় নিতে হলে ৩০৯ বছর সময় লাগবে। আজ ডাকাতের হাতে ক্ষমতা পড়েছে। দেশ আজ নিরাপতদ নয়।

আজ প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়েছে। আমাদের সময় থেকে আজ প্রতিট জনিসের দাম ৩-৪ গুণ বেশি। এ সরকার দ্রব্য মুল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। এ হাসিনা বলেছিল ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবে। ঘরে ঘরে চাকরী দেবে। কিন্তু সরকার তা করতে পারেনি। এ সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। তারণ এ সরকারের কথা আর কাজের মধ্যে কোনব মিল নেই। এ সরকার যতদিন থাকবে ততই দেশের ক্ষতি হবে। কারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ম মানুষ এ সরকারের আমলে নির্যাতিত হচ্ছে। বহু নেতাকে এ সরকার গুম করেছে। বারবার নির্বাচিত এমপি ইলিয়াস আলীকেও এ সরকার গুম করেছে। এ সরকার গুম, খুন, লুটেরা সরকার। এ সরকার দুর্নীতিবাজ সরকার। এ সরকারের আমলে কোন পেশার মানুষ নিরাপদ নয়।
এ সরকার বিডিআর বিদ্রোহ দমন করতে পারেনি। হাসিনা সেনাদের নির্দেশ না দিনয়ে সেসনাদের আটকে রেখেছে। সেনাকে নিদেৃম দিলে অনেককে রক্ষা করা যেত। এটা নিয়ে তদন্ত ঠিকমত করেনি। তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। সীমান্ত হত্যার বিচার হচ্ছে না। এ সরকার দেশের মধৌ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারে না। সীমান্ত রক্ষা কি করে করবে। মাইকিং করে লোকদের সরে যাওয়ার জন্য সরকার পথ করে দেয়অ লাইট বন্ধ করে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে দেয়া হয়অ।

রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। কুইক রেন্টালের বিদ্যুৎ পায়। কিন্তু টাকা কুইক পাচার হয়েছে। রামপালের মত জায়গায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে দেয়া হবে না। সুইটেবল জায়গায় এটি করতে হবে। যেখএন কোন ক্ষতি হবে না। রামপালে হলে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পশু থাকবে না। পাখী থাকবেনা। পরিবেশ থাকবেনা। মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে দেয়া যাবে না। আন্দোলনকারীদের সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করা হবে। বিএনপি আন্দোলনের পাশে থাকবে।

বিকাল পৌঁণে ৫টায় বেগম জিয়া তার ভাষণ শুরু করেন। এর আগে তিনি বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে সার্কিট হাউজে প্রবেশ করেন। এরপর ৩ টা ৪৫ মিনিটে তিনি জনসভা মঞ্চে উপস্থিত হন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জ্রু সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তৃতা করেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা অধ্যক্ষ মোঃ ইসাহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আবাদুল লতিফ, বিএনপির যুগ্মমহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, বিভাগীয় জনসভার প্রধান সমন্বয়কারী সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্দাস, বিএনপর স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল ময়ীন খান, জামায়াতে সংসদ সদস্য আ ন ম সামসুল ইসলাম, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, জামায়াতে ইসলামের অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহ, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জমিয়তে ইসলামের মাওলানা শাহীন পাশা, ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মমিন, বিএনপির এম নূরুল ইসলাম দাদু, অধ্যাপক মাজিদুল ইসলাম, কৃষক দলের সভাপতি সামসুজ্জামান দুদু, জামায়াতে ইসলামের আমিনুর ইসলাম, মোহাদ্দীস আব্দুল খালেক, বিএনপির আমান উল্লাহ আমান, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, যুবদলের বরকত উল্লাহ বুলু, ব্যারিষ্টার মাহমুদ উদ্দিন রোকন, সাবেক হ্ইুপ মশিউর রহমান, শাহ কামাল তাজ,  অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাবক দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিবুন্নবী খান সোহেল, ছাত্রনেতা আব্দুল কাদের ভ’ইয়া জুয়েল, মহিলা দলের নূরে আলী সাফা, ছাত্রশিবিরের মিজানুর রহমান, সাঈদী পুত্র শামীম সাঈদী, জামায়াতে ইসলামীর মহানগর আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেসিসির প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম, জামায়াতের মাওলানা এমরান হোসাইন, খেলাফত মজলিসের মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, জেপির সিরাজ উদ্দিন সেন্টু, লেবার পার্টির লোকমান হাকিম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মুফতি রেজাউল করিম, পিপলস লীগের ডাঃ আফতাব হোসেন, বিএনপির সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন, মাগুরার করিম মুরাদ, মেহেরপুরের সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন, বাগেরহাটের এম এ সালাম, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল বারী, খানজাহান আলী থানার মীর কায়সেদ আলী, পাইকগাছার অ্যাডভোকেট জি এ সবুর, দৌলতপুর থানার শেখ মোশাররফ হোসেন, সদর থানার আরিফুজ্জামান অপু, ডুমুরিয়ার খান আলী মুনসুর, দাকোপের আবুল খায়ের খান, তেরখাদার কাওসার আলী, কয়রার মোমরেজুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানার আসাদুজ্জামান মুরাদ, রূপসার আব্দুর রশীদ, মহানগর যুবদলের শফিকুল আলম তহিন, মহানগর শ্রমিকদলের আব্দুর রহিম বকস দুদু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আজিজুল হাসান দুলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এমরানুল কবির নাসিম, জাসাস নগর আহবায়ক মেহেদী হাসান দীপু, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফ, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি শেখ কামরান হাসান, নগর সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারুকী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন

# ২৯-০৯-১৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *