নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই এলাহীর ২২ অক্টোবর রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ফরিদপুরের অম্বিকা ময়দানে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রামপালের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের এই ঘোষণা সুন্দরবন রক্ষায় লংমার্চের জনসমর্থনকে অবজ্ঞা করার সামিল বলে উল্লেখ করেছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য প্রকৌশলী কল্লোল মুস্তাফা।তিনি বলেন, জনসমাবেশে সুন্দরবনকে রক্ষা করার যে প্রতিশ্রুতি বুকে ধারণ করে উপস্থিত হয়েছে আপামর জনসাধারণ, তাদের অনুভূতির বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করছে না সরকার, এ ঘোষণা তারই প্রমাণ। সভায় জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই ভিত্তিপ্রস্তর কখনই বাস্তবে রূপান্তরিত হবে না। সুন্দরবন রক্ষার জন্য যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তা কখনই রামপালে পরিবেশ ধ্বংসকারী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প হতে দিবে না।
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রবীণ প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, রামপালে কয়লা পোড়ানোর ফল ভালো হবে না, এর মাধ্যমে সুন্দরবনের কবর খোড়া হবে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বিজ্ঞানসম্মত উন্নয়ন বলতে তারা যে জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছে, তা কখনই শুভ ফল বয়ে আনবে না। আর একজন বীর উত্তম কখনই সারাজীবন মুক্তিযোদ্ধা থাকতে পারেন না, যখন তিনি দেশের জন্য এ ধরনের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত নেন।
উল্লেখ্য, ভারতীয় কোম্পানি ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশনের (এনটিপিসি) সঙ্গে বাংলাদেশের ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড’র (পিডিবি) যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি হয় ২৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে। সরকারের নিজস্ব একটি সংস্থা সেন্টার ফর অ্যানভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস-সিইজিআইএস ‘প্রাথমিক পরিবেশগত সমীক্ষা’ চালায়। এ সমীক্ষা পরিবেশবাদীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। কিন্তু শত সমালোচনা-প্রতিবাদ সত্ত্বেও এই প্রকল্পকে শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।
এ জন্য এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে সারাদেশে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটি এই লংমার্চের ডাক দেয়। ঢাকা থেকে ২৪ তারিখে যাত্রা শুরু করা সমাবেশটি ২৮ তারিখে বাগেরহাটে গিয়ে শেষ হবে। মানিকগঞ্জ থেকে ২৫ তারিখে এই লংমার্চ আসে ফরিদপুরে। ২৬ তারিখ সকালে এর গন্তব্য ফরিদপুরের মধুখালী হয়ে মাগুরায়।