
মামলার আসামিরা হলেন- বিপিসির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (অর্থ) মনিলাল দাস, ডেপুটি ম্যানেজার (অর্থ) জাহাঙ্গীর হোসেন, উচ্চমান সহকারী (অর্থ) নুরুল ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার (হিসাব) গিয়াস উদ্দিন আনসারী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (হিসাব) কাজী সাহিদুর রহমান এবং ডেপুটি ম্যানেজার (হিসাব) জাকির হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা ২০০৯-১০, ২০১০-১১ এবং ২০১১-১২ এ তিন অর্থবছরে মোট ৪০০ কোটি টাকা বেশি বিল পরিশোধের মাধ্যমে আত্মসাত করেছে। তারা আমদানিকারদের সহায়তায় গত ২০০৯-১০, ২০১০-১১ এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে রিফাইন তেল, অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, জেট ফুয়েল ইত্যাদি আমদানির মাধ্যমে প্রকৃত এলসির পরিমাণ লোডিং পয়েন্ট সার্ভে রিপোর্টের পরিমাণের চেয়ে তিন বছরে সর্বমোট ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫২ হাজার ৫৭৬ লিটার তেল চুরি করেছে। যার মূল্য ৩৯৪ কোটি ৫০ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৬ টাকা।
দুদক সূত্র জানায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে তেল আমদানিকালে প্রকৃত এলসি’র পরিমাণ, লোডিং পয়েন্টর সার্ভে রিপোর্ট এর পরিমাণের চেয়ে ক্রুড, ওয়েল খাতে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯৪ টাকা ও রিফাইন ওয়েল খাতে ৮ কোটি ৯ লাখ ৬ হাজার ৫৭৩ টাকা মোট ২৩ কোটি ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৭১ টাকা বেশি বিলের মাধ্যমে আত্মসাত করা হয়েছে। একই প্রক্রিয়ায় গত ২০১০-১১ অর্থবছরে ক্রুড ওয়েল খাতে ২১ কোটি ৩৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫৪ টাকা, এইচএসডি খাতে ৭৭ কোটি ২৩ লাখ ৭৭ হাজার ২৭১ টাকা এবং জেট-এ-১ খাতে ১৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮০২ টাকা মোট ৯৮ কোটি ৫৭ লাখ ৬৪ হাজার ২২৫ টাকা বেশি বিল পরিশোধের মাধ্যমে আত্মসাত করা হয়। অনুরূপভাবে গত ২০১১-১২ অর্থবছরে ক্রুড ওয়েল খাতে ৪৪ কোটি ২০ লাখ ৪২ হাজার ৭৬৩ টাকা, এইচএসডি খাতে ৩০৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৪৯ টাকা এবং এইচ ওবিসি খাতে ২ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ৩০৯ টাকা মোট ৩৫৩ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৫২২ টাকা বেশি বিল পরিশোধের মাধ্যমে আত্মসাত করা হয়েছে। তিন অর্থবছরের জন্য পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় বিপিসির ওই ৬ জন কর্মকর্তা আসামি হিসেবে রয়েছেন।
দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মালাগুলো দায়ের করা হয়েছে।