নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: হযরত শাহজালাল ও শাহ আমানত বিমানবন্দর দু’টিকে চোরা চালানিরা নিরাপদ ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে দেশি-বিদেশি এসব চোরাচালান চক্র। বিমান কর্মকর্তাদের পটিয়ে ব্রিফকেস, বিমানের ডেক, নিজের শরীর কিংবা বিভিন্ন ব্যবহৃত জিনিসের ভেতর ঢুকিয়ে স্বর্ণের চালান আনা হচ্ছে দেশে। আর কাস্টমস কর্মকর্তাদের যোগসাজশে স্বর্ণের বড় বড় একেকটি চালান বিমানবন্দর থেকে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন জুয়েলারি মার্কেটে।সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বড় বড় স্বর্ণের চালান ধরা পড়ে হযরত শাহজালাল ও শাহ আমানত বিমান বন্দরে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১১ কেজি স্বর্ণসহ একজনকে আটক করে বিমানবন্দর কতৃর্পক্ষ। এর আগে, গত ৩০ আগস্ট উদ্ধার করা হয় ১৮ কেজি স্বর্ণ। এ ঘটনায় সালমান ফকির নামের এক স্বর্ণ চোরাকারবারীকে গ্রেফতারও করা হয়। গত ২৪ জুলাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবাক করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যোগে একশ’ ২৪ কেজির সবচেয়ে বড় চালানটি ধরা পড়ে। এরপর ২৫ জুলাই আলাদা দু’টি অভিযানে ধরা পড়ে আরো প্রায় ২৫ কেজির মতো স্বর্ণ।
অপরদিকে, চোরাচালানে পিছিয়ে নেই চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরও। ২৩ জুলাই ১৭ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। দেশের দু’টি বিমানবন্দরে আটক এসব স্বর্ণের বর্তমান বাজার মূল্য কমপক্ষে প্রায় একশ’ কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিমান বন্দরের অতিরিক্ত কাস্টমস কমিশনার ওহেদুল আলম। বিমান কর্মকর্তারা চোরাকারবারিদের সহায়তা করার বিষয়ে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন শিমুল বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন রুট দিয়ে অবৈধভাবে পাচার হয়ে দেশে আসছে স্বর্ণের চালান। আর এর সহায়ক হিসেবে কাজ করেন মূলত বিমানবন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় কিছু কিছু চালান ধরা পড়ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তাকে ফাঁকি দিয়ে চালান বের করে নিচ্ছে চোরাচালান চক্র।
বিমানবন্দরের কাস্টমস কমিশনার জাকিয়া সুলতানা জানান, চলতি বছরের তিন মাসেই বিমানবন্দর থেকে দুইশ’ ৬৫ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ নিয়মানুযায়ী একজন যাত্রী দু’শ গ্রাম স্বর্ণ আনার অনুমতি রয়েছে। সিনিয়র এসপি আলমগীর জানান, ২৪ জুলাই একশ’ ২৪ কেজি স্বর্ণের যে চালানটি আটক করা হয়, সে চালানের প্রাপক বা গ্রাহকের কোনো নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এতে বোঝা যায়, এই চালানের সঙ্গে বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জড়িত। শাহ জালাল বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে ১৫ থেকে ২০টি গ্রুপ সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্র:: বাংলানিউজ২৪