নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: সরবরাহ বেশি থাকায় ধারাবাহিকভাবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত ঈদুল ফিতরে যার দর ছিলো ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। সেই মুরগিই এখন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা দরে। এই সময়ে মুরগির দর কমেছে ৪৫ টাকার মতো। দর কমার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে মুরগির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। খামারগুলোতে একই সঙ্গে মুরগি বড় হওয়ায় উৎপাদন ভালো। সামনে কোরবানির ঈদ আসায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন মুরগি বিক্রি কমে যাবে।আবার বাজারে ইলিশের দর কম থাকায় ক্রেতারা মুরগির পরিবর্তে মাছই বেশি কিনছেন। তাতে মুরগি বিক্রি কম হচ্ছে।
এছাড়া যে কোনো সময় মুরগির মড়ক লাগতে পারে এমন আশঙ্কায় উৎপাদনকারীরা দাম কম হলেও সব মুরগি বিক্রি দিচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের মতে, এমন অবস্থায় মুরগির বাড়তি চাপে বিক্রি কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। আজ খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা। যা গেল ঈদের সময়ে ছিলো ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। আবার কেজি ওজনের দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২৫ থেকে ৩৫০ টাকা। যা গেল ঈদে ছিলো ৪০০ টাকার উপরে।
তবে খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা কম দামের জন্য ইলিশ মাছের দর কমাকে দুষছেন। তারা বলছেন, বিক্রি যে দরেই হোক না কেন মাছের দর কম থাকায় মুরগির ক্রেতা কমে গেছে। কাপ্তান বাজারের বিসমিল্লাহ পল্ট্রিস দোকানের ব্যবস্থাপক ইউনুস মেম্বার অর্থসূচককে জানান, আগে মুরগির ৫০ থেকে ৬০টা গাড়ি আসতো। আর এখন মুরগির সরবরাহ বেশি থাকায় ১৪০ থেকে ১৫০ গাড়ি আসে। অথচ সব বিক্রি না হওয়ায় মুরগি আটকে থাকে। ফলে কম দরে মুরগি ছেড়ে দিতে হচ্ছে। এতে করে ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
নতুন বাংলা হাঁস মুরগির আড়তের ব্যবস্থাপক আফসর আলী জানান, ঈদুল ফিতরের পর থেকে সব ধরণের মুরগির দর কমেই চলেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা দিনের মাল দিনে বিক্রি করতে পারে না। কোরবানির ঈদের পর ছাড়া হয়ত দর বাড়বে না মলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার, কাপ্তান বাজার পাইকারি আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, লেয়ার মুরগি কেজি প্রতি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৮০০ গ্রাম ওজনের পাকিস্তানি কক প্রতি পিস ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা, কেজি ওজনের দেশি মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুরগির দর কমে যাওয়াকে স্বস্তি হিসেবে নিয়েছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, যে সময় সবজির বাজার সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। তখন মুরগির দর কমে যাওয়া একটু স্বস্তিই বটে। তবে ঈদের পাশাপাশি পূজা আসাতে মুরগির বাজারে দরের হেরফের হতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।