নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: জার্মানির ইতিহাসে এর আগে দুইবার এমন হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে কনরাড আডেনাওয়ার এবং হেলমুট কোল তিনবার বা তার বেশি চ্যান্সেলর নির্বাচন জিতেছেন। রবিবারের নির্বাচনে জিতে টানা তিনবারের মতো চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন ৫৯ বছর বয়সী অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। এর ফলে জার্মানি তথা গোটা ইউরোপের রাজনীতিতে এখন ভিন্ন উচ্চতায় আসীন হলেন এই নারী রাজনীতিক।
রবিবার নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন দল সিডিইউ এবং তার বাভারিয়ার মিত্রদল খ্রিস্ট্রীয় সামাজিক ইউনিয়ন সিএসইউ পেয়েছে ৪২.৪ শতাংশ ভোট। বিগত দুই দশকের মধ্যে দলটির এটাই সবচেয়ে ভালো ফলাফল। মার্কেলের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক অর্থমন্ত্রী পেয়ার স্টাইনব্রুকের সামাজিক গণতন্ত্রী বা এসপিডি দল পেয়েছে ২৫.৪ শতাংশ ভোট। দুটি দলই গত বারের চেয়ে বেশি ভোট আদায় করে নিতে পেরেছে। তবে সিডিইউ সাড়ে আট শতাংশের বেশি ভোট বেশি পেয়েছে এবার। অন্যদিকে এসপিডি পেয়েছে প্রায় আড়াই শতাংশ বেশি ভোট।
জার্মানির এবারের নির্বাচনে বিশের লক্ষ্যণীয় হচ্ছে, উদারপন্থী বলে পরিচিত দলগুলোর ভয়াবহ ভরাডুবি। মার্কেলের জোটসঙ্গী মুক্ত গণতন্ত্রী দল এবার পাঁচ শতাংশ ভোটের বেড়াই পার হতে পারেনি। ফলে বুন্ডেসটাগে তাদের এবার দেখা যাবে না। গতবারের নির্বাচনের চেয়ে ১০ শতাংশেরও বেশি কম ভোট পেয়েছে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলের মুক্ত গণতন্ত্রীরা। উল্লেখ্য, ভেস্টারভেলে একজন সমকামী হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে পরিবেশবাদী সবুজ দলের ভোট কমেছে আড়াই শতাংশ। তারা পেয়েছে ৮.২ শতাংশ। বাম দল ৮.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এবারের জার্মান সংসদে তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। তবে তাদেরও ভোট কমেছে গতবারের চেয়ে সাড়ে তিন শতাংশেরও বেশি।
ইউরোপের আর্থিক সংকট ও গ্রিসকে অর্থ সহায়তার জন্য নিজ দেশের মধ্যে তিনি সমালোচিত হলেও শেষ পর্যন্ত জার্মানরা ভেবে চিন্তেই মার্কেলের ওপর ভরসা রাখলো।