নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) পরির্দশক (ইন্সপেক্টর) মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যাকাণ্ডের প্ররোচনাকারী বলে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান জনিকে (২৭) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন বিভাগের এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে জনি ঐশীকে দুবাই পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়েছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের পরে রাজধানীর মুগদায় একটি বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন।তাকে আটক করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একথা জানা গেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জনির সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে বৃহস্পতিবারই তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।
তিনি বলেন, জনি একজন নিয়মিত মাদকসেবী এবং ব্যবসায়ী। তিনি ড্যান্স ডিরেক্টরের পরিচয় দিয়ে এর আগেও বিভিন্ন শিল্পীকে বিদেশে পাঠনোর প্রলোভন দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে । আসাদুজ্জামান জনি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মোহাম্মদ জামালের ছেলে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্টের ৯ নম্বর রোডের ৪০ নম্বর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর চামেলীবাগের ভাড়া বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) পরির্দশক (ইন্সপেক্টর) মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে তাদের বড় সন্তান ধানমণ্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ও`লেভেলের শিক্ষার্থী ঐশী রহমানের সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ। পরের দিন দুপুরে ঐশী তাদের গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমিসহ পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে।
তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ঐশীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে আটক করে। পরে তাদের তিনজনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলে ঐশী ও সুমি হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ঐশী-সুমির জবানবন্দি এবং রিমান্ডে রনির বক্তব্য অনুসারে জনি এই মামলার চতুর্থ এবং শেষ সন্দেহভাজন আসামি বলেও জানিয়েছে ডিবি। ঐশী ও রনি বর্তমানে কারাগারে ও সুমি গাজীপুরের কিশোরী সংশোধনকেন্দ্রে রয়েছে।