Khulna_Aleg_01-30-09-13নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: খুলনা সার্কিট হাউজের জনসভায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। সোমবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, খুলনার উন্নয়নে দেয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্য সঠিক নয়। বিএনপির সময়ই খুলনার মিল কলকারখানা বন্ধ হয়েছে। হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটিয়েছে। বিগত দিনে বিএনপিই খুলনার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড বন্ধ করে দিয়েছিল।
খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া খুলনায় যা বলেছেন, তার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই রূপসা সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। এর জন্য জমি অধিগ্রহণসহ সব কাজ শেষ করেছে আওয়ামী লীগ। উদ্বোধন করেছেন শুধু খালেদা জিয়া। ১১শ‘ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কও শেখ হাসিনার সময় কাজ শুরু হয়। পরে বিএনপি সরকার গঠন করলে তারা রাস্তা কেটে ছোট করে কাজ শেষ করেছে।
খুলনার শিল্পাঞ্চলের দৌলতপুর জুট মিল, পিপলস জুট মিল ও নিউজপ্রিন্ট মিল বিএনপি সরকার বন্ধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণ করে বন্ধ মিল কারখানা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। ২০১১ সালে খালিশপুর জুট মিল এবং ২০১৩ সালে দৌলতপুর জুট মিল চালু হয়েছে। নিউজপ্রিন্ট ও দাদা ম্যাচ চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সুচিকিৎসার কথা বিবেচনা করে নগরীর গোয়ালখালিতে আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ। জোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর শুধুমাত্র নামের কারণে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়। মংলা বন্দরের পাশে ৩৫০ একর জায়গায় ইপিজেড নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও একইভাবে এর কাজও বন্ধ করে দেয় বিএনপি সরকার।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই খুলনার উন্নয়ন হয় দাবি করে তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, গত ৫ বছরে খুলনার সবকটি সেক্টরে উন্নয়ন করা হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৭ কোটি এবং খুলনা প্রকৌশল  ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালকে (কুয়েট) ৫২ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রায় ৫৭ কোটি টাকা দিয়ে আধুনিকায়নরে পর শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম টেস্ট ভেন্যুর মর্যাদা পেয়েছে। মংলা বন্দরের নিজস্ব ড্রেজারকেনাসহ ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। এছাড়া কেসিসিতে বিভিন্ন সময়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি খুলনার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বর্ণনা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, চিশতী সোহরাব হোসেন, এডভোকেজট বাদশা মিয়া, গাজী মোহাম্মদ আলী,  গাজী আবদুল হাদী, সুজিত কুমার অধিকারী, এম ডি এ বাবুল রানা, আইয়ুব আলী, নব কুমার চক্রবর্তী, শ্যামল সিংহ রায়, মুন্সি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম সোহাগ, সানাউল্লাহ নান্নু, আবুল বাশার, মনিরুজ্জামান খান খোকন, আনিসুর রহমান পপলু, কামরুজ্জামান জামাল, শফিকুর রহমান পলাশ, দেব দুলাল বাড়ৈ বাপ্পী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *