নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: শনিবার সরকারি ছুটির দিন হলেও করদাতাদের আসার কারণে ওই পথে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। বিকালে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, সবাই ব্যস্ত। কেউ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আয়কর বিবরণী (রির্টান) জমা দিচ্ছেন। কেউ নতুন ই-টিআইএন এর জন্য ফরম পূরণ করছেন। আবার কেউ পুরনো টিআইএন নম্বর ই-টিআইএন রূপান্তরে ব্যস্ত। একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, “ই-টিআইএন আগেই নিয়েছিলাম। ছুটির দিন, অফিস বন্ধ।
তাই এই ফাঁকে রির্টান জমা দিতে এসেছি।” এনজিও কর্তকর্তা ফারহানা নাহিদ বলেন, “পুরনো টিআইএনেই রির্টান জমা দিয়েছি। পরে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশনটা করে নেব।” এদিকে ছয় দিনেই আটশ’ কোটি টাকার কর আদায় হয়েছে এবার। শনিবার সন্ধ্যায় এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ষষ্ঠদিন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মেলাগুলো থেকে মোট আটশ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। শনিবার ঢাকাসহ দেশব্যাপী আয়োজিত আয়কর মেলায় ৮৯ হাজার ৭৮৩ জন করদাতাকে সেবা প্রদান করা হয়েছে।
নতুন করদাতা হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন ২ হাজার ১১ জন করদাতা। বিদ্যমান করদাতাদের মধ্যে ১০ হাজার ৪৩২ জন করদাতা নতুন ই-টিআইএন পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হয়েছেন। এদিন আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে ২৩ হাজার ২২৯টি। আর আয়কর আদায় হয়েছে ১০৮ কোটি ৩২ লাখ ৫৮ হাজার ১৪৯ টাকা। বিবৃতিতে বলা হয়, আয়কর মেলার ষষ্ঠ দিন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৪ লাখ ৭ হাজার ১৫০ জন করদাতাকে সেবা প্রদান করা হয়েছে। নতুন করদাতা হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন ১০ হাজার ৫৮ জন করদাতা। বিদ্যমান করদাতাদের মধ্যে ৫৭ হাজার ৩৯০ জন করদাতা নতুন ই-টিআইএন পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হয়েছেন। মোট কর আদায় হয়েছে ৭৯৯ কোটি ১৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৫ টাকা। রোববার মেলার শেষ দিন। মেলা যথারীতি সকাল ১০ টায় শুরু হবে এবং বিরতিহীনভাবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেন, “গত ছয় দিনে বিপুল সংখ্যক করদাতা মেলায় এসেছেন। হরতাল উপেক্ষা করেও করদাতারা মেলায় এসেছেন। এতেই প্রমাণিত হয় মানুষের মধ্যে কর দেয়ার প্রবণতা বেড়েছে।” মেলা থেকে এক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাবে সপ্তাহব্যাপী মেলা উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত বছর দেশের বৃহত্তর ১৬ জেলায় আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়। তখন ৯৭ হাজার করদাতা কর পরিশোধ করেন, যাতে সরকারের ঘরে রাজস্ব আসে ৮৩৮ কোটি টাকা।