নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: সরকারকে একদলীয় নির্বাচন করতে দেবে না বিএনপি। আর তাই রাজপথে নামার পরিকল্পনা করেছে দলটি। তবে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত আন্দোলনের কোনো রূপরেখা তাদের হাতে নেই। সুত্রমতে, কুরবানির ঈদের পর অক্টোবরের শেষ দিকে ঢাকায় মহাসমাবেশ করার চিন্তা আছে।সেখান থেকে ‘ঢাকা অচল’ ‘অসহযোগ’, কয়েক দিনের লাগাতার হরতাল-অবরোধ আসতে পারে বলে দলের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন। তাতে দাবি আদায় না হলে বিএনপি ‘একদলীয়’ নির্বাচন প্রতিহত করার দিকে যাবে। বিএনপি মনে করছে, তাদের জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবিরেরও পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দীর্ঘদিন থেকে তারা সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়ে আসছে। বিএনপিও মাঠে নামলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আরও সাহসী হবে। হেফাজতে ইসলামও সরকারের ওপর চরম ক্ষিপ্ত। এসবের সুযোগ নিতে চায় বিএনপি। প্রসঙ্গত নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি।
সরকার একদলীয় নির্বাচন করলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না এমন প্রচার জোরালো করতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিভাগীয় শহরগুলোতে জনসভা করছেন। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করতে গেলে তৃণমূলে তা ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়বে। বিএনপি ও জামায়াত-প্রভাবিত অনেক এলাকায় নির্বাচনও করতে পারবে না সরকার। কর্মীদের সাহায্যে এসব অঞ্চল তারা বিচ্ছিন্ন করে রাখতে পারবেন।কারণ বিএনপির নেতাদের বিশ্বাস, তৃণমূলে কোন্দল থাকলেও একদলীয় নির্বাচন প্রতিহত করতে কর্মীরা নিজেদের স্বার্থেই মাঠে নামবেন। দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে দল ক্ষমতার বাইরে। ফলে কর্মীরাও অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। উল্টো নানা ধরনের হামলা-মামলায় জর্জরিত। সেটি আরও বাড়ুক, এটা কর্মীরা কখনো চাইবেন না।
নেতারা মনে করছেন, প্রশাসন ও পুলিশের ওপর সে সময় সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যতটা তত্পর, ঢাকার বাইরে ততটা নয়। ঢাকার মতো এত পরিমাণ সদস্য মোতায়েনও সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের কর্মীরাও অনেকে ধরে নিয়েছেন, ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। তাই যতটুকু সক্রিয় থাকার কথা, ততটুকু তারা থাকবেন না। তা ছাড়া পাঁচ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা দলটির সাংগঠনিক অবস্থানও সুদৃঢ় নয় বলে বিএনপির নেতারা মনে করছেন।