নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: আজ শুরু হচ্ছে সুন্দরবনের রামপাল অভিমুখী লংমার্চ। সকাল ১০টার দিকে জাতীয় কমিটি প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে রামপালের উদ্দেশে রওনা হবে। ইতিমধ্যে পাঁচ দিনের এ লংমার্চের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে লংমার্চে সরকার-সমর্থক ও পুলিশের বাধার আশঙ্কা করছে আয়োজক সংগঠন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ নিউজবাংলা২৪ডটনেটকে জানান, লংমার্চে আমরা যেহেতু সরকার ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করছি, তাই সরকারের বাধার মুখে পড়ার আশঙ্কা করছি। তবে বাধার আশঙ্কা থাকলেও আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। চোখের সামনে দেশকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। আনু মুহাম্মদ বলেন, “আমরা আগেই বলেছি, বিদ্যুৎ-সংকটের সমাধানে সরকার টেকসই পথে না গিয়ে বারবার এমন পথ গ্রহণ করছে, যা দেশকে আরো বড় সংকটে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের এসব পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে দুর্নীতি আর ভুল নীতি। এসব ব্যাপারে দেশবাসীর আপত্তি-মতামত কোনো কিছুতেই সরকার কর্ণপাত না করায় আমরা জনগণের শক্তি নিয়ে লংমার্চের কর্মসূচি দিয়েছি।”
জাতীয় কমিটির সূত্রে জানা গেছে, লংমার্চের জন্য হাজার হাজার লিফলেট, পোস্টার, বুকলেট ছাপানো ও বিতরণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। পথসভা ও লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য লংমার্চ রুটের নির্ধারিত পয়েন্টগুলোতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সারা দেশ থেকে জাতীয় কমিটির প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। তবে, আর্থিক ও আবাসন সংকটের কারণে অনেককে লংমার্চে নেয়া যাচ্ছে না বলে জানান জাতীয় কমিটির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স।
জাতীয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে, লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা প্রথমে সমাবেশ করবে সাভারের রানা প্লাজার সামনে। এরপর চার দিনে পর্যায়ক্রমে মানিকগঞ্জ সদর, গোয়ালন্দ বাজার, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মধুখালী, কামারখালি, মাগুড়া, ঝিনাইদহ, কালীগঞ্জ, নওয়াপাড়া, ফুলতলা, দৌলতপুর, খালিশপুর, খুলনা, বাগেরহাটে সমাবেশ করবে। সর্বশেষ ২৮ সেপ্টেম্বর রামপালের দিগরাজে মহাসমাবেশের মাধ্যমে পাঁচ দিনের লংমার্চের সমাপ্তি হবে। সেখানে সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় কমিটি সুন্দরবন ঘোষণা পাঠ করবে। তবে, সম্প্রতি সিলেটে ও ঢাকার একটি কলেজে বামসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকার-সমর্থকদের হামলার ঘটনায় বামনেতারা আশঙ্কা করছেন, লংমার্চেও হামলা হতে পারে এবং পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করতে পারে। বিশেষ করে বৃহত্তর ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের প্রভাবিত এলাকায় হামলার আশঙ্কা করছেন তারা।