সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের ছোবল থেকে দেশকে রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক সমাজের ক্ষত। সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৯’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হারানোর পর যে মর্যাদা হারিয়েছিলাম, সেটা ফিরে পেয়েছি। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। খেলাধুলায় আরও বেশি উৎকর্ষতা অর্জন হোক, সেটাই আমি চাই। এজন্য যা যা করণীয় আমরা সরকারের পক্ষ থেকেই তাই করবো ওয়াদা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখান থেকে আমরা অনেক ভালো খেলোয়াড় পাবো যাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা অর্জন করবো। এক সময় আমরা বিশ্বকাপ জয় করবো।’
তিনি বলেন, ‘খেলাধুলা ও শরীর চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা পাবে, মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। এজন্য উদ্যোগটা নিয়েছি। আজকে সকলে মিলে এক হয়েছেন এবং খেলার দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতা হয়েছে। ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল ও সুইমিংসহ ১০টি ইভেন্ট ছিল। খেলাধুলার এই প্রতিযোগিতা প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়ে এসেছি আমরা। এরপর শুরু করবো আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা। আন্তঃস্কুল ও আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা।’ ছোট থেকে বড়দের সবাইকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যার সবশেষ পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা অর্জনে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন শেখ হাসিনা। একদিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতবে প্রত্যাশা সরকার প্রধানের।
শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গণবিশ্ববিদ্যালয় ও ফারইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল ফাইনাল শেষ হয়েছে। ফাইনালে গণবিশ্ববিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জেতে, ৬০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে।
এই টুর্নামেন্টে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত খেলোয়াড়, শিক্ষক, সংগঠক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ আয়োজক সংস্থা সবাইকে অভিনন্দন জানাই। বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস ২০১৯-এর সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই ধন্যবাদ। এছাড়া ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবার প্রতি রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা।’
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে আর্থসামাজিক ও দারিদ্র্য মুক্তির জন্য কাজ করছে, পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেই পদক্ষেপও নিয়েছি। প্রায় একটানা ১০ বছর ক্ষমতায় আছে আমাদের সরকার। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া চর্চায় প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের তরুণ, যুব ও শিশু সমাজ সম্পৃক্ত হবে, এটাই ছিল প্রত্যাশা।’