হিমাগারে ৫৫ হাজার মণ ইলিশ মজুদ, ক্রেতা নেই Reviewed by Momizat on . নিউজবাংলা২৪.ডটনেট:: পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে যখন সারা দেশে ইলিশের চড়া দামের খবর আসছে, তখন চাঁদপুরের দুটি মৎস্য হিমাগারে মজুত রয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার মন ইলিশ। ক্রেতা নিউজবাংলা২৪.ডটনেট:: পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে যখন সারা দেশে ইলিশের চড়া দামের খবর আসছে, তখন চাঁদপুরের দুটি মৎস্য হিমাগারে মজুত রয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার মন ইলিশ। ক্রেতা Rating: 0
You Are Here: Home » খেলার খবর » হিমাগারে ৫৫ হাজার মণ ইলিশ মজুদ, ক্রেতা নেই

হিমাগারে ৫৫ হাজার মণ ইলিশ মজুদ, ক্রেতা নেই

elish_fist_arotনিউজবাংলা২৪.ডটনেট:: পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে যখন সারা দেশে ইলিশের চড়া দামের খবর আসছে, তখন চাঁদপুরের দুটি মৎস্য হিমাগারে মজুত রয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার মন ইলিশ। ক্রেতা না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন এসব হিমাগার মালিকরা। সেই সঙ্গে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন ইলিশ ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে চাঁদপুর সী ফুড করপোরেশনে মজুদ রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার মন ইলিশ ও খন্দকার ফিস প্রসেজিং এ রয়েছে প্রায় ২০ হাজার মন ইলিশ।চাঁদপুর সী ফুড করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীদুর রহমান চৌধুরী জানান, দেশ-বিদেশে রফতানি করা ছাড়াও প্রতি বছরই বৈশাখে পান্তা ইলিশের জন্য চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনার রূপালি ইলিশ তার হিমাগারে মজুদ করেন। এ বছরও ৫০ হাজার মন ইলিশ মজুদ করেন। একদিন বাদেই পয়লা বৈশাখ। কিন্তু এখনো তার হিমাগারে ৩৫ হাজার মণ ইলিশ মজুদ রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় এসব ইলিশ নিয়ে তারা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
এর মধ্যে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশই বেশি মজুদ রয়েছে। যার দাম কেজি প্রতি ৭০০ টাকা। শাহীদুর রহমান আশঙ্কা করছেন এবার তিনি কেনা দামেও এসব ইলিশ বিক্রি করতে পারবেন না। কারণ হিসেবে বলেন, ঝড় তুফান না হওয়ায় সাগর শান্ত ছিল। ফলে জেলেরা সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরছেন। এ কারণে হিমাগারে সংরক্ষিত ইলিশের চাহিদা কমে গেছে। তিনি বলেন, ভারতেও এ সময় বিভিন্নভাবে ইলিশ রফতানি করা হত। কিন্তু এবার তাও করা যাচ্ছে না।
চাঁদপুর খন্দকার ফিস প্রসেজিং-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মালেক খন্দকার জানান, তার হিমাগারে এখনো প্রায় ২০ হাজার মন ইলিশ রয়েছে। এর মধ্যে এক দেড় কেজি সাইজের প্রচুর ইলিশ রয়েছে। এর মধ্যে দেড় কেজি সাইজের ইলিশ ১৫শ টাকা করে এবং এক কেজি সাইজের  ইলিশ এক হাজার টাকা করে বিক্রি করছেন। তবে বাজারে চাহিদা না থাকায় কেনা দামের চেয়েও কম মূল্যে খুচরা বাজারে এসব ইলিশ বিক্রি করতে হচ্ছে। এসব ইলিশ গত বছরের ইলিশ মৌসুমে ধরা হয়।
তিনি জানান, এখনকার নদী বা সাগরের ইলিশের চাইতেও মজুতকৃত ইলিশ স্বাদের ও তৈলাক্ত হয়। এসব ইলিশ ১০ কেজি করে প্যাকেটজাত করা রয়েছে। সহজেই তা বহন করা যায়। এদিকে গত পয়লা মার্চ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ রক্ষার নামে সরকার অভয়াশ্রম কর্মসূচি পালন করছেন। এ কারণে নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা, ইলিশ বিক্রি করা ও বহন করা নিষিদ্ধ।

About The Author

Number of Entries : 3366

Leave a Comment

Scroll to top