দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা তদন্তে প্রমাণ হলে খালেদার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চট্টগ্রামে আটক ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের মদদদাতা হিসেবে যেহেতু বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং হাওয়া ভবনের নাম এসেছে, তাই এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।” মঙ্গলবার রাতে সংসদের বৈঠকে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় প্রসঙ্গে সংসদ নেতা বলেন, কোনো দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যাতে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে অস্ত্র চোরাচালান করতে না পারে, সে বিষয়ে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মাটিকে সব সময় আশপাশের দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছেন। একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে অস্ত্র চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার হতে দেয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ভারতের সাতটি রাজ্য, যেখানে একসময় যথেষ্ট সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছিল, তাকে সমর্থন দিয়ে বিএনপির নেত্রী একবার বক্তৃতাও দিয়েছিলেন। তিনি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে স্বাধীনতা আন্দোলন বলে চিহ্নিত করেছিলেন। বিএনপির অনেক নেতাও এই সংসদে দাঁড়িয়ে এসব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৫ সালে বগুড়ার কাহরোলে যে এক ট্রাক গুলি আটক হয়েছিল, সেই গুলি কাদের জন্য কোথা থেকে এসেছিল, তারও তদন্ত হচ্ছে। একে একে সবই তদন্ত করা হবে। কিছুই ছাড়া হবে না। আত্মরক্ষা করতে ছাত্রলীগ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আত্মরক্ষা করতে গিয়েই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল- এমন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শিবিরের আক্রমণ প্রতিহত করতেই ছাত্রলীগ প্রতিরোধ করে। আত্মরক্ষার অধিকার সবারই আছে। তবে যাদের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে, তাদের ইতিমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতেও আমি ইতিমধ্যে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছি।” রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দাবি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, কর্তৃপক্ষ সে দাবি মেনে নিয়েছে। আর দাবি মেনে নিয়েছে বলেই ছাত্রলীগ আনন্দ মিছিল করছিল। কিন্তু সেই মিছিলে শিবির হামলা চালায়। শেখ হাসিনা বলেন, “এ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। কাউকেই ছাড়া হবে না। সে দলেরই হোক।”