তিনদিন পর চমক দেখতে পাবেন-জয়
নিউজবাংলা২৪ডটনেট:: ক্ষমতায় থেকে সাফল্য দেখানো সহজ নয়। তারপরও এবার চমক দেখানো হবে। তিনদিন পর সেই চমক দেখতে পাবেন। আমি এসেছি দলকে সহযোগিতা করতে। আমি প্রচার চালাব। তবে আপাতত প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা নেই। বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা বলেন।
জয় বলেন, বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জরিপ চলছে এবং তৃণমূলের সাথে পরামর্শ করে প্রার্থী নির্বাচন করা হচ্ছে। আমি তো সারা দেশে সফর করে অপপ্রচারের জবাব দিতে পারব না। প্রচার প্রসঙ্গে জয় বলেন, প্রচারের অনেক পরিকল্পনা আছে। ফেসবুকে যেমন আমার পেজ রয়েছে। ফেসবুকে প্রচারের পরিকল্পনা ও রয়েছে। পরিকল্পনা আছে ৩০০ প্রার্থীর ৩০০ ফেসবুকে পেজ খোলার। এ জন্য একটি টিমও করা হয়েছে।
জয় বলেন, আমরা কারও প্রতি কখনো ঔদ্ধ্যত নই। ক্ষমতায় থাকলে দলীয় কর্মকাণ্ড ধীর হয়ে যায়। তবে সেটা এখন আর নেই। আমরা উড়াল সড়ক করছি। অথচ পত্রিকায় প্রতিবেদন হচ্ছে এর জন্য মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। অথচ এটি নির্মিত হলে কী উপকার হবে সেটা বলা হয় না।
তিনি আরো বলেন, অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার বর্তমানে বাংলাদেশে দুটি দল রয়েছে, যার একটি স্বাধীনতার পক্ষের অন্যটি বিপক্ষের। আমার মায়ের (শেখ হাসিনা) ধারণা ছিল কাজ করলে ভোট পাওয়া যাবে। কিন্তু আসলে সেটা নয়।
জয় বলেন, বর্তমানে দেশ যেভাবে দ্রুত এগিয়েছে যাচ্ছে, স্বাধীনতার পর আর এতো উন্নয়ন হয়নি। ১৬ কোটি মানুষের দেশে আমরা যেভাবে উন্নয়ন করেছি, এই সফলতাকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। সুতরাং আমার বিশ্বাস আওয়ামী লীগকে আবার মানুষ ক্ষমতায় আনবে। জয় বলেন, এদেশে রাজনীতি করা আসলে কষ্টের। এখানে দল ও পদবি না থাকলে কাজ করা কঠিন।
গণমাধ্যমের সহযোগিতার বিষয়ে জয় বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারের প্রায় ৯০ ভাগ বাস্তবায়ন করেছে। সরকারের সমালোচনা থাকবেই। এ সমালোচনার জায়গাটা যদি একটু ভারসাম্য আনা যায়, সেটাই মূলত আমরা প্রত্যাশা করছি।
হেফাজত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হেফাজত ইসলামের ঘটনায় মূলধারার গণমাধ্যমেগুলো সত্য তুলে ধরেছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কিছু গণমাধ্যম নেতিবাচক প্রচার করেছে। বিরোধী দলে থাকলে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনেক সহজ হয়।তাই মানুষের মাঝে এই উন্নয়ন তুলে ধরতে হবে। তাহলে তারা তুলনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা ছাড়াও গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।